খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৯ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  আরও এক মামলায় খালাস পেলেন ফখরুল-রিজভী-আমির খসরু
  ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে রেণু হত্যা : একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন
  ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি মোকাম্মেল ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ
  সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নতুন নিয়োগ পাওয়া ২৩ বিচারপতি শপথ নিয়েছেন
  এনআইডির তথ্য ফাঁসের ঘটনায় সজীব ওয়াজেদ জয় ও জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে কাফরুল থানায় মামলা

উপকূলের অধিকাংশ স্কুলেই নেই শহীদ মিনার

নিতিশ সানা, কয়রা

উপকূলীয় অঞ্চল খুলনার কয়রায় বিদ্যালয় আছে তবে অধিকাংশ স্কুলেই নেই শহীদ মিনার। তাই ২১শে ফেব্রুয়ারিতে হয় না তেমন কোন আয়োজন। কোমলমতি স্কুল পড়ুয়া শিশুরা প্রতিবছর এ বিশেষ দিনে প্রভাত ফেরিতে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা না জানিয়ে স্কুলে আলোচনা সভা, রচনা প্রতিযোগিতা ও চিত্র অংকন করে দিবসটি পালন করেন।

অপরদিকে ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পরেও শহীদ মিনার স্থাপন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। যদিও সরকারি নির্দেশ অনুয়ায়ী প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকা বাধ্যতামূলক।

উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১৪২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। যার ৯ টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে। আর ১৩৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই কোন শহীদ মিনার। এছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আওতায় ৬৪ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা রয়েছে।

সরকারিভাবে দিবসটি উপলক্ষে নেওয়া হয় বিভিন্ন কর্মসূচি। এসকল স্কুলগুলোতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এলে তাৎক্ষণিক অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে ছাত্র-ছাত্রীরা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

মধ্য মহেশ্বরীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শংকর চন্দ্র মন্ডল বলেন, স্কুলে শহীদ মিনার না থাকায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে ইট দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে ফুল দিয়ে আলোচনা সভা করা হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান খুলনা গেজেটকে বলেন, আমাদের যে সকল স্কুলে শহীদ মিনার নেই সেসব স্কুলের তালিকা করা হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি দিন কলাগাছ, ইট অথবা তক্তা দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে দিবসটি পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তাড়াতাড়ি স্কুলগুলোতে শহীদ মিনার তৈরি করা হবে।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ বাকি বিল্লাহ বলেন, আমরা লজ্জিত যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি, আর তাদের স্মৃতি স্তম্ভ অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নাই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার তৈরি করার ব্যবস্থা করা হবে।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!