খুলনা আলিয়া মাদ্রাসায় জেলা মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। চলছে শেষ মুহুর্তের ঘষামাজা ও রংয়ের কাজ। আগামী ১০ জুন মসজিদটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের প্রস্তুতি চলছে।
২০১৮ সালের পাঁচ এপ্রিল মসজিদটির নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই মসজিদ কমপ্লেক্সটি দাড়িয়ে রয়েছে ৩৭ হাজার ৪০০ স্কয়ার ফিট জায়গার ওপর।
দৃষ্টিনন্দন মসজিদটির শোভা বৃদ্ধি করেছে ১০৯ ফুট সুউচ্চ মিনার। কমপ্লেক্সটিতে রয়েছে আধুনিক সকল সুবিধা। নারী ও পুরুষ মুসল্লিদের জন্য রাখা হয়েছে পৃথকভাবে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা। লিফট, লাইব্রেরী, অডিটোরিয়াম, নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ, গাড়ি পার্কিং, লাশ গোসলের স্থান সহ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র।
মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণের দায়িত্বে থাকা এস এম বিল্ডার্স এর ম্যানেজার খাঁন আকরাম খুলনা গেজেটকে জানান, নিচতলার আয়তন ১২০০ স্কয়ার ফুট। সেখানে রয়েছে লাশবাহি ফ্রিজার ভ্যানসহ ১৩ টি গাড়ি পার্কিংএর ব্যবস্থা। লাশ গোসল করানোর আলাদা কক্ষ, আটটি টয়লেট, একটি রান্নাঘর, লাইব্রেরী সহ একটি কনফারেন্স রুম।
১ম, ২য় ও ৩য় তলার প্রতিটির আয়তন ৭৮০০ স্কয়ার ফুট। প্রথম তলাটি মূলত: নামাজের স্থান।
মসজিদটিতে একসাথে নামাজ আদায় করতে পারবেন এক হাজার মুসল্লি। ২য় তলায় নারীদের নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে একসাথে সাড়ে তিন শো নারী জামাতে নামাজ আদায় করতে পারবেন। এছাড়া থাকছে কনফারেন্স রুম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিস।
তৃতীয় তলায় রয়েছে ইমাম, খাদেম ও মোয়াজ্জিনদের থাকার ঘর। অতিথিদের জন্যেও রয়েছে ২টি রুম।মসজিদের মডেল অনুযায়ী অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হলেও লিফট ও সৌন্দর্য বর্ধনে গাছ লাগানোর কাজ চলছে।
রঙ্গীন থাই গ্লাস আর তাঁরার নকশা করা লোহার কারুকাজে ফুটিয়ে তুলেছে ভবনের বাইরের সৌন্দর্য। ভেতরে রয়েছে চকচকে টাইলসের মেঝে। রাতের বেলায় নানা রংয়ের লাইটের আলো টাইলসে প্রতিফলিত হয়ে ছড়ায় বিকিরণ।
দামি লাইটের ব্যবহার রাতের আধারে মসজিদের সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে তুলেছে। সিডির উপরের স্পট লাইট ও চারপাশের সাদা বাতিগুলো দৃষ্টিকে মোহাবিষ্ট করে রাখে।
খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী লতিফুল ইসলাম খুলনা গেজেটকে জানান, “মসজিদ কমপ্লেক্সের কাজ শেষ পর্যায়ে। ১০ জুন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে এটা উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।”
খুলনা গেজেট/ এস আই