সাতক্ষীরায় বিনা উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল এবং লবণ সহিষ্ণু বিনাধান -১০ এর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এক মাঠ দিবস সোমবার (৪ এপ্রিল) সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চল শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্র সাতক্ষীরা এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শ্যামনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আক্তার হোসন এর সভাপতিত্বে মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিনা ধান ১০ এর উদ্ভাবক বৈজ্ঞানিক বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা অঞ্চল ডিএই এর অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ ফজলুল হক, সাতক্ষীরার ডিএই উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ নুরুল ইসলাম, শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন প্রমুখ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা বিনা উপকেন্দ্রের ইনচার্জ ড. মোঃ বাবুল আকতার , শ্যামনগর কৃষি উপসহকারী প্রকৌশলী জামাল হোসেন।
বিনা ধানের মহাপরিচালক বৈজ্ঞানিক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, আমি আমার দেশকে ভালোবেসে দেশের মানুষের কথা ভেবে এই উচ্চফলনশীল এবং লবণ সহিষ্ণু বিনাধান -১০ উদ্ভাবিত করেছি। আপনারা বিনা ১০ ধান লোনা পানির এলাকায় সহজেই চাষ করতে পারবেন এবং এই ধান উচ্চফলনশীল হবে। তিনি আরও বলেন, যদি কৃষক বাঁচে, তাহলে বাঁচবে দেশ।
চাষী অশোক কুমার বলেন, আমরা লোনা পানির জন্য ১০ বছরেও কোন দিন ভালো ফসল ফলাতে পারিনি। কিন্তু এবছর আমি জানতে পারি যে, লবণ সহিষ্ণু ধান আবিষ্কার হয়েছে। আমি তখন কৃষি অফিসে যোগাযোগ করি এবং তাদের কাছ থেকে ধান নিয়ে আমি চাষ করি। লবন সহিষ্ণু বিনাধান -১০ চাষাবাদ করে ভালো ফসল পেয়েছি। আমাদের কৃষকদের ইচ্ছা ছিলো এই ধান আবিষ্কার করা ভগবানকে (মহাপরিচালক) একবার দেখার, আমরা তাকে দেখে অনেক খুশি হয়েছি।
মাঠ দিবসের অনুষ্ঠান শেষে বিনা মহাপরিচালক বৈজ্ঞানিক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম সহ সকলে নিজ হাতে ধান কেটে লবণ সহিষ্ণু বিনাধান -১০ ধান কাটার শুভ সূচনা করেন।