খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর নিয়োগ নিয়ে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  ৭ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

ইয়োলো জোন যশোরে সপ্তাহ ব্যবধানে সংক্রমণ বেড়েছে ১৯৫ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

করোনা সংক্রমণে ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা যশোর জেলা রয়েছে ঝুঁকির তালিকায়। এ জেলাকে ইয়োলোজোন (মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ) এলাকা বলা হলেও সাধারণ মানুষের মাঝে নেই কোনো সচেতনতা ও ভীতি। এমনকি সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব মানার কোনো বালাই নেই। বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার কথা থাকলেও হাটবাজার, পরিবহন, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালত সবখানেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত।

এদিকে, যশোরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. রেহেনেওয়াজ জানান, সর্বশেষ ১৮ জানুয়ারি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টার ও র‌্যাপিড এন্টিজেন একশ’ ৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এক সপ্তাহে শনাক্ত হয়েছে দুশ’ ৬৮ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ২৩ জন। হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন আছেন তিনশ’ ২২ জন। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ১৯৫ শতাংশ বেড়েছে করোনা রোগী। এ পর্যন্ত জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার একশ’ ৬০ জন। মৃত্যু হয়েছে পাঁচশ’ ১৭ জনের।

এরআগে ১৭ জানুয়ারির ফলাফলে জেলায় ১৬৪ জনের নমুনার বিপরীতে ৫০ জন শনাক্ত হয়েছেন। এরমধ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জিনোম সেন্টার থেকে ১১৮ নমুনায় ২৪ জন ও র‌্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষায় ৪৬ নমুনায় ২৬ জন শনাক্ত হয়েছেন।

সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, করোনা সংক্রমণরোধে ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ থেকে বিধি-নিষেধ জারি করেছে। আমরা সে অনুযায়ী সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কাজ করছি। তবে কেউ যদি মানতে না চায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যা অচিরেই বাস্তবায়ন করা হবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন প্রস্তুত আছে।

জানা গেছে, করোনার শুরুর দিকে প্রথম দুই ধাপে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে পুলিশি চেকপোস্ট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল থাকলেও এবার করোনার নতুন ধরন ওমিক্রমণের ঝুঁকিতে আগের মতো তৎপরতা নেই। এ যেন সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব এবং প্রশাসনের নমনীয়তায় সরকারের বিধি-নিষেধ ও নির্দেশনা এখনও কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!