সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার ফটিকখালি দেয়াবকসিয়া গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৬ জুন) দুপুর ১২টায় ফটিকখালি জগদ্ধাত্রী মন্দির প্রাঙ্গনে এলাকাবাসী এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে।
মানববন্ধন চলাকালে ডাঃ নৃপেন্দ্র নাথ মন্ডলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, খাজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন রায়, ইউপি সদস্য রামপদ সানা, ইউপি সদস্য অনুপ সানা, আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম, শিক্ষক অরুন মন্ডল, শিক্ষক পশুপতি রায় প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, তাদের গ্রামের প্রদীপ মন্ডল বর্তমানে শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসের করণিক। কয়েক বছর আগে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের প্রধান করনিক থাকাকালীন এলাকার বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
কিন্তু চাকুরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাওয়ায় তিনি সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে তাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন। টাকা ফেরৎ না দেওয়ার জন্য তিনি গদাইপুরের সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে থাকেন।
বক্তারা আরো বলেন, তাদের গ্রামে চাচা ভাতিজার মধ্যে অসম বিয়ের ঘটনায় স্থানীয়রা ওই পরিবারকে বয়কট করে। প্রদীপ মন্ডল এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে অহিদুল ও কুদ্দুস বাহিনীর ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী ভাড়া করে নিয়ে গ্রামবাসী বিধান মন্ডলকে পিটিয়ে জখম করে। গ্রামবাসী ওইসব সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে রবিউল মোল্যা নামের এক সন্ত্রাসীকে মোটর সাইকেলসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এসময় প্রদীপসহ অন্যরা পালিয়ে যায়।
বক্তারা প্রদীপ, অহিদুল ও কুদ্দুসসহ হামলাকারিদের শাস্তির দাবি জানান। পরে মন্দির চত্বরে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রদীপ মন্ডলের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
এ ব্যাপারে প্রদীপ মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার প্রতিপক্ষরা এ ধরণের অপবাদ দিচ্ছে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কবীর জানান, হামলার ঘটনায় বিধান চন্দ্র মন্ডল বাদি হয়ে শুক্রবার রাতে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবিউল নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই