প্রস্তুত প্যারিস। সাজসাজ রব শহরজুড়ে। গেমস শুরুর আগেই ফুটবল ও রাগবি দিয়ে শুরু হয়ে গেছে পদকের লড়াই। সব অ্যাথলেটরা এখনো না আসলেও সারা বিশ্বের কয়েক হাজার সংবাদ কর্মীর ভিড়ে মুখরিত মিডিয়া সেন্টার। কড়া নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে।
আইফেল, লু ভ, সজ এলিজে. প্যারিসের সব আইকনিক স্থাপনা সেজেছে অলিম্পিক সাজে। তবে এর মাঝেও ব্যাতিক্রম পার্ক দু ভেল। এখানকার প্রস্তুতি, নিরাপত্তা, জনসমাগম সবচেয়ে বেশি। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত প্যারিস।
বিগেস্ট শো অন আর্থকে সামনে রেখে দশ লাখের বেশি টিকিট বিক্রি হলেও পর্যটকের সংখ্যা এখনো কম। তার তুলনায় গণমাধ্যম কর্মীদের আনাগোনা বেশি। শহরজুড়ে ছড়িয়ে প্রায় ১৭০ দেশের ৩৫ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক।
নিরাপত্তার কড়াকড়িতে শহরের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় প্রবেশ নিষেধ। ৪৫ হাজার পুলিশ ও প্যারামিলিটারি থাকছে নিরাপত্তার দায়িত্বে। সেনাবাহিনীর দশ হাজার সৈন্য ও বিশ হাজার বেসরকারী নিরাপত্তারাক্ষী। বড় বড় ভবনের ছাদে রাইফেল হাতে স্নাইপার। সন্ত্রাসী ধরতে ব্যবহার করা হচ্ছে এআই প্রযুক্তি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরেই সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা।
প্যারিসের বাইরে মার্শেই, লিল আর তাহিতিতে হবে একাধিক ডিসিপ্লিন। একসঙ্গে ১ হাজারের বেশি সংবাদকর্মীদের কাজের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে মেইন প্রেস সেন্টার। যা ছিলো প্যারিসের সবচেয়ে বড় বাস স্ট্যান্ড।
অলিম্পিক কমিটির বাইরেও স্থানীয় আয়োজকরা খুলেছে প্যারিস মিডিয়া সেন্টার। ঘন্টায় ঘন্টায় চলছে সংবাদ সম্মেলন। আছে ইয়োগা, মেডিটেশনের সুবিধা। ২৬ জুলাই পর্দা উঠবে বিগেস্ট শো অন আর্থের। তবে অ্যাথলেটদের মাঠের লড়াই আর গেমস ভিলেজের ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেছে ইতোমধ্যে।
খুলনা গেজেট/এএজে