ক্ষমতাসীনরা আগের মতোই আরেকটা নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার(৮ এপ্রিল) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার মুখে বলছে গণতন্ত্রের কথা, নির্বাচনের কথা। আওয়ামী লীগের নেতা ও মন্ত্রীরা একেবারে ফেনা তুলে ফেলেছেন যে, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন তৈরি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন নাটক করেই যাচ্ছে। সমস্ত নাগরিক সমাজের লোকজনদের ডাকছেন এবং সাংবাদিকদের ডাকছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার উনি খুব সুন্দর বাংলা বলেন। কথা বলার ভঙ্গিও সুন্দর। এমন কথা বলে মানুষকে কিছুটা বিমোহিত করার চেষ্টাও তিনি করেন। এই জিনিসগুলো কিন্তু সবচেয়ে ভয়াবহ। এই যে নাটকগুলো করা হচ্ছে। এই নাটকগুলো করে আজকে আবার আরেকটা নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। এবারও যে আগের মতো নির্বাচন হবে না, আগের নির্বাচন তো আগের রাতেই হয়ে গেছে। এখন ৭ দিন আগে সব সিদ্ধান্ত হবে কিনা- আমরা তা জানি না।’
আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক দল নয় মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে কখনই কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। আওয়ামী লীগের শাসন আমলে কখনই গণতন্ত্র একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে পারে না। আওয়ামী লীগের শাসন আমলে কখনই রাজনৈতিক দলগুলো নিরাপদ নয়। গণতন্ত্র তো নিরাপদ নয়ই।
গত কয়েকটি নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন তারা (সরকার) একই চেহারায় আবির্ভূত হয়ে নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার ও ভয়ভীতি ছড়িয়ে বিরোধী দলকে নির্মূলে অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ২০২৩ সালে যে নির্বাচন করতে চায়, সেই নির্বাচনেও যাতে এককভাবে আগের মতোই করতে পারে- সেই কৌশল তারা গ্রহণ করেছে।’
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের গ্রেপ্তারের ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিনা উসকানিতে ইশরাককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই সময় ঘটনাস্থলে ২০ থেকে ২৫ জন নেতাকর্মীরা ছিল। এখন তারা ইশরাকের সঙ্গে ৮৮ জনকে আসামি করে মামলা দিয়েছে।
ফখরুল বলেন, আমরা শুনেছি- সরকার তালিকা তৈরি করেছে। সেই তালিকাটা তৈরি করে যে যে জেলায় গুরুত্বপূর্ণ যত নেতারা আছেন- সেই মামলাগুলো দ্রুত শেষ করে দেয়ার জন্য একটা সেলও করে দেয়া হয়েছে। সেই সেল করে দিয়ে এই মামলাগুলো দ্রুত শেষ করে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।