ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ মোকাবেলায় উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। জেলায় প্রস্তত রয়েছে ১শ’৯৭ টি সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধে চলছে সংস্কার কাজ। এদিকে সোমবার সকাল থেকে জেলাব্যাপী গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মাশরুবা ফেরদৌস জানান, সোমবার (৯ মে) দুপুরে ওয়েবিনারে জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির একটি বৈঠক হয়েছে। জেলার সরকারি ১৯৭টি আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। এছাড়া ৭শ’ ৪০টি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান দূর্যোগকালিন সময়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সাড়ে তিন লাখ লোক আশ্রয় নিতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের ৮৬টি মেডিকেল টিম গঠন করে প্রস্তত রাখা হয়েছে। এছাড়া দূর্যোগকালিন সময়ে লোকদেরকে সরিয়ে নিতে ট্রলার প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে দূর্যোগে আক্রান্ত লোকদের সরিয়ে নিতে।
এদিকে, সোমবার সকাল থেকে জেলাব্যাপী গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সাথে রয়েছে দমকা হাওয়া। দিনভর সূর্যের আলোর দেখা মেলেনি।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক জুলফিকার আলী জানান, অশনির অগ্রভাগের মেঘমালার কারণে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব নয়। তবে ঘূর্ণিঝড়টি বড় একটি এলাকাজুড়ে রয়েছে। সেটি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কিছু মেঘ আমাদের দিকে চলে এসেছে। যে কারণে দমকা হাওয়া ও হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২-৩ দিন আবহাওয়া এমনই থাকবে। ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমান যে দিকে অগ্রসর হচ্ছে সেটি ভারতের উড়িষ্যার দিকে। বাংলাদেশের উপকূলে প্রবেশের সম্ভাবনা খুবই কম। তবে এর প্রভাবে আগামী ১২ মে নাগাদ প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন বলেন, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ৮শ’ কি.মি. বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ৪৪টি পয়েন্টের বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সম্ভাব্য ভাঙন রোধে সোমবার থেকে বেড়িবাঁধের বেশি ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে।