‘নিজে সংসারের জন্য অর্থ উপার্জন করবো। সেইসঙ্গে আরও দশজনের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেব। তাদেরকে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ করে তুলব।’ সেলাই মেশিন পেয়ে সালমা খাতুন নামে এক নারী এমনটাই বললেন।
শুক্রবার (১৮ জুন) বিকেলে অব্যাট হেলপার্স খুলনার উদ্যোগে খালিশপুর হাউজিং ৩ নং ক্যাম্প সংলগ্ন নিজস্ব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দরিদ্রদের মাঝে সেলাই মেশিন ও হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।
সালমা খাতুন বলেন, আমি প্রশিক্ষণ নিয়ে দর্জির কাজ শিখেছি। সামান্য কিছু আয়ও করি। তবে স্বামী আর আমার সামান্য আয় দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয়। এ জন্য অব্যাট হেলপার্সে আবেদন করেছিলাম একটি সেলাই মেশিনের জন্য। আজ সেটা দিয়েছে। খুব ভালো লাগছে।
সালমার মতো সেলাই মেশিন পেয়ে খুশি ১ নং ক্যাম্পের বৃষ্টি খাতুন। তিনি বলেন, “লেখাপড়া বেশিদূর করা সম্ভব হয়নি। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছি। প্রশিক্ষণ নিয়ে দর্জির কাজ শিখেছি। তবে আমার বাড়িতে সেলাই মেশিন নেই। এখন সেলাই মেশিন পেয়েছি। এই মেশিন দিয়ে অর্থ উপার্জন করে পরিবার পরিচালনায় আমিও অবদান রাখতে চাই।”
অব্যাট হেলপার্সের প্রজেক্ট অফিসার এম হুমায়ুন কবির বলেন, ২০০৬ সালে মাত্র চারজন নিয়ে এটি শুরু করি। চেয়ার-টেবিলের তেমন কোনো ব্যবস্থা ছিল না। ২০২১ সালে এসে খালিশপুর ও গিলাতলায় এখন আমাদের স্কুল, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, দর্জির কাজের প্রশিক্ষণসহ নানা কাজ করছি। আমাদের জনবল এখন ৪০ জন। অসহায় ও পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে থাকার জন্য কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রজেক্ট অফিসার এম হুমায়ুন কবির। প্রধান অতিথি ছিলেন আমদা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আকবর হোসেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন খুলনা প্রেসক্লাবের সহকারী সম্পাদক সাংবাদিক নুর হাসান জনি, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) খালিশপুর থানা কমিটির সম্পাদক সাংবাদিক খলিলুর রহমান সুমন, খুলনা গেজেটের প্রধান প্রতিবেদক মোহাম্মদ মিলন ও ফটো সাংবাদিক শেখ শান্ত ইসলাম।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমদা ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন, ফাউন্ডেশনের সদস্য আলাউদ্দীন স্বপন, শিক্ষক শারজিল জিলানী, এম জি হাসনাইন, শামিমা, শাহিনা, সুমা, মালেকা, রুমি, আলেয়া, নুরজাহান, রুমানা, রানা, রাজু, বেবী, মুন্নী, শবনম, নাসিমা, জেবা, জুথি, নিপা প্রমুখ।