যশোরের অভয়নগরে ৬৮০মে.টন ইউরিয়া সার বোঝাই ‘এমভি শারিব বাধন এন্টারপ্রাইজ-২’ নামের একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। এ ঘটনাটি নওয়াপাড়া পীরবাড়ী ঘাট এলাকায় ঘটে। ডুবে যাওয়া কার্গোটি ১৩ ঘন্টা পার হলেও উদ্ধার কাজ শুরু হয়নি।
কার্গোটি নদীর মাঝ বরাবর ডুবে থাকায় নৌযান চলাচল ব্যহত হচ্ছে। ফলে এই উদ্ধার কাজ শেষ না হলে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুঘর্টনা। তাছাড়া দূষিত হচ্ছে ভৈরব নদের পানি। হুমকিতে জীববৈচিত্র।
জানা গেছে, বুধবার গভীর রাতে চট্টগ্রাম নৌ বন্দর থেকে ছেড়ে আসা এমভি শারিব বাধন (৭০৭১) শিল্প বন্দর নওয়াপাড়া পীর বাড়ি ঘাট এলাকায় পৌঁছায়। এসময় কার্গোবাহী জাহাজের ঝালাইয়ের ফাটলের সৃষ্টি হয়। সেখান থেকে দ্রুত গতিতে পানি ঢুকতে থাকে। এক ঘন্টার মধ্যে জাহাজটি তলিয়ে যায়। বিষয়টি নৌবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও উদ্ধার কাজ এখনো সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে এ নদী বন্দরে লোড আনলোডের কাজ ব্যহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে জাহাজটি পীরবাড়ি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় ডুবে থাকতে দেখা যায়। কিছু শ্রমিক তারা ডুবে যাওয়া কার্গো থেকে ৪৬ বস্তা সার উদ্ধার করেছে।
এ ব্যাপারে জাহাজের কর্তব্যরত শুকানি সুমন মির্জা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৬৮০ মে.টন ইউরিয়া সার ১৩ হাজার ৬শ বস্তা ইউরিয়া সার নিয়ে নওয়াপাড়া নদী বন্দর পীরবাড়ি ঘাটে আসে। ঘটনাক্রমে জাহাজের উপরিভাগের ঝালাইয়ের অংশ ফেটে যায়। এরপর জাহাজটি পিছনের অংশ ভারি হওয়ায় দ্রুত গতিতে পানি ঢুকে জাহাজটি ডুবে যায়। আমরা বিষয়টি নৌ বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। নিজেরা ৪৬ বস্তা ইউরিয়া সার শ্রমিক দিয়ে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের কারও কোনো ক্ষতি হয়নি। এই জাহাজে থাকা সার নওয়াপাড়া বাজারের টোটাল এন্টারপ্রাইজের।
এ বিষয়টি নিয়ে কমান্ডার আশরাফ সিপিএস এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দুইঘন্টা ধরে ডুবে যাওয়া স্থানে ছিলাম। মালিকপক্ষ আমার কাছে কোন সহযোগিতা চায়নি। তবে দুর্ঘটনা এড়াতে ঐএলাকায় আমরা চিহ্নিত করে দিয়েছি। মালিক পক্ষ নোমান খান ও বাবুল চৌধুরি দেখভাল করবে বলে জানান। ডুবুরি দিয়ে সেচপাম্পের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন করতে হবে।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ নওয়াপাড়া নদী বন্দর শাখার কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ জানান, উদ্ধার কাজের প্রস্তুতি চলছে। এব্যাপারে আমাদের কমান্ডার টিম দেখভাল করছেন। নোমান খান ও বাবুল চৌধুরি সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
খুলনা গেজেট/ এস আই