যশোরের অভয়নগর উপজেলার ধোপাদী গ্রামের গৃহবধূ আকালিমা হত্যা মামলায় স্বামী আব্দুল হালিমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতে বিচারক ফাহমিদা জাহাঙ্গীর এ সাজা দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত আব্দুল হালিম ওই গ্রামের আনোয়ার মোল্লার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এপিপি অ্যাডভোকেট খোন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন মুকুল।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালে আকলিমাকে বিয়ে করে আসামি আব্দুল হালিম। বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে হালিম তার স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। ২০১২ সালের ২ মে সকালে হালিম তার স্ত্রীকে ভাত দিতে বলেন। কিন্তু ভাত দিয়ে দেরি হওয়ায় হালিম তাকে চুলের মুঠি ধরে আঘাত করলে তার ঘাড় ভেঙ্গে মাটিতে পড়ে যায়। এরপর হালিম ডাক্তার নিয়ে আসার কথা বলে পালিয়ে যায়। পরিবারের লোজন তাকে হাসপাতালে নেয়ার আগেই আকলিমা মারা যায়।
এ ব্যাপারে নিহতের বোন মণিরামপুরের হরিহরনগর গ্রামের মোশারফ হোসেনের স্ত্রী তাসলিমা বেগম বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মমালার তদন্ত শেষে হত্যায় জড়িত থাকায় আসামি হালিম মোল্লাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা অভয়নগর থানার এসআই বাহাউদ্দিন। এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি আব্দুল হালিম মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত আব্দুল হালিম বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
এদিকে, একই আদালত পৃথক একটি মাদক মামলায় এক আসামির পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি মফিজুল ইসলাম সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার মাদরা গ্রামের ছলেমান সরদারের ছেলে। এছাড়া এ মামলার আরেক আসামি আনারুল ইসলামকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মফিজুল ইসলাম ২০১৬ সালের ২৩ জুলাই ১শ’ বোতল ফেনসিডিলসহ নাভারন মোড় থেকে শার্শা থানা পুলিশের হাতে আটক হয়।