ব্যস্ত সময় পার করছেন অভয়নগর উপজেলা কৃষকরা। এবার উৎপাদনে লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তাদের ধারণা। তাইতো ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বোরো জমি তৈরি ও ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কেউ জমিতে হালচাষ দিচ্ছেন, কেউবা ধানের চারা রোপন করছেন আবার যারা আগাম চারা রোপন করেছেন তারা সেই জমিতে সেচ দিচ্ছেন।
সূত্র জানায়, গত বোরো মৌসুমের শেষ সময়ে দফায় দফায় প্রাকৃতিক দূর্যোগে ব্যাপক ক্ষতি হয় ফসলের। সেই সাথে বাজারে ধানের ভালো দাম না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয় চাষীরা। তবে এবার সকল হতাশা কাটিয়ে আবারও বুকভরা আশা নিয়ে মাঠে নেমেছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার চলিশিয়া, সুন্দলী, বাঘুটিয়া শ্রীধরপুর, পায়রা ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বোরো ধান রোপন করছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা কৃষি সংশ্লিষ্টদের।
উপজেলার কোটা গ্রামের কৃষক আমিনুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, মো. রেজোয়ান হোসেন, তরিকুল ইসলাম জানান, আমন ঘরে তোলার পর তীব্র শীত উপেক্ষা করে নতুন স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছেন তারা, ইরি বোরো ধান চাষের গুরুত্বপুর্ন সময় পৌষ মাঘ। এ দু মাসে বোরো জমিতে ধানের চারা রোপন করতে হয়। চারা রোপনের সময় শৈতপ্রবাহ ও কুয়াশা তাদের দমাতে পারেনা। তিনি এবার ৩ একর জমি চাষাবাদ করবেন এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ফসলের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এক্তারপুর গ্রামতলা গ্রামের শাহ আলম বলেন, নিজের ৪ বিঘা নিজস্ব ও এক বিঘা জমি বর্গা নিয়ে বোরো ধান রোপন করেছেন। ফলন ভাল হলে লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অভয়নগর উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় ২ হাজার ২০০ হেক্টর বেশি। এবছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৯ হাজার ৯০০ মেট্রিকটন। ধানের মুল্য বেশি ও ভবদহ জলাবদ্ধতা না থাকায় উৎপাদন লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম ছামদানী বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। তাছাড়া কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড