ছেলে সেজে ধর্ম মা কে নিজ বাড়ি বেড়ানোর কথা বলে ডেকে এনে পথিমধ্যে অজ্ঞান করে এক নারীর সর্বস্ব লুটের ঘটনা ঘটেছে। যশোরের অভয়নগর উপজেলায় বাঘুটিয়া ইউনিয়নের মধ্যপুর গ্রামে বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই এলাকাবাসী তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
অজ্ঞানের শিকার ওই নারীর নাম দুলু বেগম (৫৬)। তিনি খুলনা শহরের ৩ নং ওয়ার্ডের কৃষ্ণনগর এলাকার মৃত ছামছুর ইসলামের স্ত্রী।
জানা গেছে, খুলনা কোট চত্বরে পরিচয় হয় দুলু বেগমের সাথে ২৭ থেকে ৩০ বছর বয়সী এক যুবকের। ওই যুবক নিজের নাম পরিচয়ে জানায় তার নাম মিরাজ হোসেন বাড়ি অভয়নগর উপজেলার নাউলী গ্রামে।পরিচয়ের দুই দিনের মাথায় মিরাজ হোসেন দুইটি রুই মাছ নিয়ে ওই নারীর বাড়ি বেড়াতে যায়। বাড়িতে ওই নারী একা থাকেন। মিরাজ হোসেন তখন বলেন, আমার মা নেই আপনি আমার ধর্মের মা। এ কথা বলে মিরাজ হোসেন ওই নারীকে তার বাড়ি বেড়াতে আসার জন্য বায়না ধরে। তার কথায় সরল বিশ্বাসে ওই নারী মিরাজ হোসেনের বাড়িতে যেতে রাজি হয়। বুধবার দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে তারা খুলনা থেকে মিরাজ হোসেন মোটর সাইকেলে রওনা হয়। বিকালে তারা ফুলতলা খেয়াঘাট দিয়ে ভৈরব নদ পার হয়ে নাউলী গ্রামে ঢোকে। মোটর সাইকেলে করে ওই যুবক তাকে নিয়ে এলাকা দিয়ে ঘুরে বেড়ায়। সন্ধ্যার পর একটি দোকানে বসিয়ে ওই নারীকে কোমলপানীয় খাওয়ানো হয়। এর পরে তাকে আবার মোটর সাইকেলে উঠানো হয়। পথি মধ্যে অজ্ঞান হয়ে পড়লে ওই নারীর পরনে থাকা স্বর্ণের তিনটি আংটি, একটি গলার চেইন, কানের দুল,নগদ পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে পথের মাঝে ফেরে রেখে পলিয়ে যায়।রাত ১২টার দিকে স্থানীয়রা ওই নারীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই নারীর জ্ঞান ফিরলে ঘটনাটি খুলে বলে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক গোবিন্দ পোদ্দার জানান, তাকে চেতনানাশক পদার্থ খাওয়ানো হয়েছে, সে এখন আশংকা মুক্ত।
থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আকিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘স্থানীরা ওই নারীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তবে তার কাছ থেকে কোন তথ্য উদঘটন করা সম্ভব হয়নি।
খুলনা গেজেট/কেডি