যশোরের অভয়নগরে দু’টি স্পীড ব্রেকার তুলে দিয়েছেন স্থানীয়রা। রোববার নিজ উদ্যোগে রাস্ত থেকে তুলে ফেলে নিজেরা।
যশোর অভয়নগর উপজেলার একতাপুর গ্রামে ফারাজী বাড়ি মসজিদ সংলগ্ন অনুমোদনহীন স্পীড ব্রেকার দুটি অপসারণের বারবার দাবি করেছিল এলাকবাসী। ঝুঁকিপূর্ণ স্পীড ব্রেকার অপসারণের দাবিতে রবিবার (৭ মে) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিলো।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলার একতারপুর গ্রামে মরহুম আব্দুল হামিদ ফারাজীর বাড়ি হতে একতারপুর গ্রামতলা এলাকায় বাকারডাঙ্গা পর্যন্ত এলজিডির একটি কাঁচা-পাকা রাস্তা রয়েছে। সম্প্রতি ওই রাস্তার দেড় কিলোমিটার পিচ ঢালাই করা হয়েছে। স্থানীয় একটি মহল ফারাজী বাড়ি জামে মসজিদের সামনে দুটি স্পীড ব্রেকার তৈরি করে। অনুমোদনহীন এই স্পীড ব্রেকারের জন্য সেখানে প্রায় ঘটছিল ছোট-বড় দুর্ঘটনা। যা মরণ ফাঁদে পরিণত হয়। গ্রামীণ সড়কে এ ধরণের স্পীড ব্রেকার অপ্রয়োজনীয়। সরেজমিনে তদন্তপূর্বক স্পীড ব্রেকার দুটি অপসারণের দাবি জানানো হয়েছিলো এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে। দীর্ঘদিন যাওয়ার পরও যখন অপসারণ করা হয় নাই তখন আবারও এলাকাবাসী এলজিডি প্রকৌশলী এস এম ইয়াফি এর নিকট দ্বারস্থ হন।
অতঃপর এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে দুটি বিড(স্পীড ব্রেকার) অপসারণ করেন। এলাকাবাসী অপসারণ করে চলে যাওয়ার পর কিছু সময় অতিবাহিত হলে সেখানে দেখা যায় কে বা কারা ড্রেন করে রেখেছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা প্রশাসনকে জানালে,অভয়নগর থানা গাজীপুর ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই আনিসুর রহমান ঘটনাস্থানে এসে এলাকাবাসীর চলাচলের স্বার্থে ড্রেন করা অংশটুকু ইট শুড়কি দিয়ে বন্ধ করে দিয়ে যায়। এ বিষয় অভয়নগর থানার গাজীপুর ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ এসআই আনিসুর রহমান বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যাই দেখি রাস্তাটি খোঁচা,জনগণের চলাচলের স্বার্থে স্থানীয় লোক দিয়ে পাশে থাকা ভাঙা ইট শুড়কি দিয়ে ভরাট করে দেয়।
এ ঘটনায় অভয়নগর উপজেলা এলজিডি ইঞ্জিনিয়ার এস এম ইয়াফির সঙ্গে কথা হলে বলেন,একতারপুরের বিড (স্পীড ব্রেকার) দুটি নিয়ে বারবার এলাকাবাসী অভিযোগ নিয়ে আসছিল।আজও আসছিলো।পরে আমি শুনেছি স্পিড বেকার দুটি আজ রবিবারে এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে ভেঙ্গে অপসারণ করেছে। এলজিআইডির পক্ষ থেকে রাস্তাটির ভাঙা জায়গা সংস্কার করা হবে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড