করোনা থেকেই সোনাডাঙ্গা স্বল্প আয়ের মানুষের আয় কমেছে। সেই থেকে এখানকার মানুষ ঋণী হয়ে পড়েছে। ঘর ভাড়া সহ দ্রব্যমূল্য বেড়েছে কয়েকগুণ। রাজমিস্ত্রি, দিনমজুর রিক্সাচালক ও গৃহপরিচারিকার মজুরি বাড়েনি। ফলে অভাব-অনটন পিছু ছাড়ছে না এখানকার মানুষের। চিকিৎসা ও আতিথেয়তা করা তাদের জন্য কষ্টসাধ্য।
করোনাকালীন গেল দু বছরে এখানকার স্বল্প আয়ের মানুষ ঋণী হয়ে পড়ে। বিশেষ করে বাস-ট্রাকের শ্রমিক, রিক্সাচালক, রাজমিস্ত্রি, দিনমজুর এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা করোনার ধাক্কা সামাল দিতে পারেনি। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর থেকে চাল ডাল সয়াবিন কাঁচা মরিচ
পোল্টি মুরগি, পাঙাস মাছ, ডিমসহ অন্যান্য দ্রব্যের মূল্য কয়েক গুণ বাড়ে। সেই সাথে বেড়েছে ঘর ভাড়া।
একজন রাজমিস্ত্রি প্রতিদিন ৬শ’ টাকা দিনমজুর ৪শ’ টাকা, বাসের হেলপার ৪শ’ টাকা মজুরি অপরিবর্তিত রয়েছে। ঈদ ও পূজোয় অধিকাংশ শ্রমজীবী কেনাকাটা করতে পারেনি।
নর্থ খাল ব্যাংক রোডে ক্ষুদে ব্যবসায়ী আলী আজগর মোল্লার দেওয়া তথ্য প্রতিদিন ৫শ’ টাকা আয় হয়। ছয় জনের সংসার চালাতে ব্যয় সাড়ে পাঁচ শ’ টাকা. ঔষধ কেনা ও আতিথেয়তা করা কষ্টসাধ্য।
বানরগাতী এলাকার ক্ষুদে ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন, দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার ও গৃহপরিচারিকা মেরি বেগম এ প্রতিবেদককে জানান, করোনা থেকেই ঋণের বোঝা কাটিয়ে উঠতে পারিনি।
চা বিক্রেতা আজমল খান ও বাসের হেলপার দুলাল শেখ বলেন, সকাল আটটা থেকে রাত ১১টা অবধি শ্রম দিয়েও সংসার চালানো যাচ্ছে না। প্রতিদিনের আয়ের চেয়ে সংসারের ব্যয় বেশি। কাঁচা মরিচের মূল্য দফায় দফায় বেড়েছে, কমেনি সয়াবিনের দাম। ৩০ টাকা কেজির ওএমএস এর চাল সবাই পায়না। এক একটি পয়েন্টে চাল বরাদ্দ এক মেট্রিক টন, চাহিদা তিন মেট্রিক টনের।
সোনাডাঙ্গাস্থ নিউমার্কেট এলাকায় আজ ইসলামী আন্দোলনের এক জনসভায় দলের মহাসচিব হাফেজ মোঃ ইউনুছ আহমেদ উল্লেখ করেন, দ্রব্যমূল্যের চাপে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। মানুষের বেঁচে থাকাই কষ্টসাধ্য।