খুলনা, বাংলাদেশ | ২৭শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবুল বারাকাত গ্রেপ্তার
স্থায়ী সমাধানের দাবি

অভয়নগরের মজুতখালী নদীর বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে শত শত পরিবার

অভয়নগর প্রতিনিধি

যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নে মজুতখালী নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আতঙ্কে দিন কাটছে তিন গ্রামের শত শত মানুষের। বর্ষা মৌসুমে বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হলে শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যার কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ সংস্কার ও স্থায়ী সমাধানের দাবি গ্রামবাসীর। তবে এ বিষয়টি নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

জানা যায়, উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নে ভৈরব নদের ত্রিমোহনী থেকে বয়ে যাওয়া মজুতখালী নদীর ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আতঙ্কে রয়েছে সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের দিঘলিয়ারাবাদ, জয়ারাবাদ ও রামনগর গ্রামের শত শত মানুষ। ফলে এ সকল মানুষের যে কোন সময় পানিবন্দি হওয়ার শঙ্কায় দিন কাটছে।

গ্রামবাসী জানায়, দিঘলীয়ারাবাদ গ্রামে বাঁধ ভেঙে যে কোন সময় পানি ঢুকে পড়বে। এতে গ্রামের শত শত মানুষ পানিবন্দি হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়বে। বাঁধ রক্ষায় গ্রামবাসী মিলে নানা রকম পদক্ষেপ নিলেও তাতে তেমন কোন কাজে আসেনি। যার কারণে তারা সরকারিভাবে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।

সূত্র জানায়, সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নে ভৈরব নদের ত্রিমোহনী থেকে বয়ে যাওয়া মজুদখালী নদীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আতাই নদ। আতাই নদের বাঁধ ভেঙে সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের শান্তিপুর, চন্দ্রপুর ও রামনগর গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। যে কারণে তিন গ্রামের শত শত পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় জীবন যাপন করে। গত বছর মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে শান্তিপুর গ্রামে ঋষিপাড়া অংশে বাঁধ ভেঙে নদের পানি ঢুকতে শুরু করে। সকাল হওয়ার পূর্বে বাঁধের ২/৩ শ’ মিটার অংশ ভেঙে শান্তিপুর, চন্দ্রপুর ও রামনগর গ্রামের ভেতরে পানি ঢুকে পড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। যে কারণে তিন গ্রামের মানুষ, গবাদিপশু, মাছের ঘের ও বেশ কয়েকটি রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে যায়। এসময় ইউনিয়নে মজুতখালী নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আতঙ্কে দিন কাটছে তিন গ্রামের শত শত মানুষের।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ সংস্কার না হলে যে কোন সময় তলিয়ে যেতে পারে বসতবাড়ি মাছের ঘের ও ফসলি জমি।

ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বলেন, বাঁধ ভেঙে গেলে তিন গ্রামের মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। একটি স্থায়ী সমাধান দাবি করেছি।

এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম শীল বলছেন, বিষয়টি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করবো।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!