আর্থিক অনিয়মে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে সশরীরে ফিফার সদরদপ্তর জুরিখে গেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফ) সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। যদিও এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে বাফুফে। সাধারণ সম্পাদকের সেই সফরের সঙ্গী হয়েছেন ফুটবল ফেডারেশনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা।
প্রতিদিনের মতোই শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাফুফে কর্মকর্তারা ভবনে আসছেন নিয়ম মেনে। কিন্তু সারাদিনেও দেখা মেলেনি সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল তার গন্তব্য এখন সুইজারল্যান্ডের জুরিখে, কিন্তু কেন? তা জানতে চাওয়া হয় সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের কাছে। সাধারণ সম্পাদকের জুরিখ সফর থেকে কি সুসংবাদ পাব আমরা? জবাবে বাফুফে বস বলেন, আমি জানি না আপনি কী নিয়ে কথা বলছেন।
সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের জুরিখ সফর নিয়ে কিছুই জানেন না বাফুফে সভাপতি! অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে এমিরেটস EK538 ফ্লাইটে করে দুবাই, অতঃপর EK085 সংযোগ ফ্লাইটে জুরিখ। ততক্ষণে বোঝার বাকি নেই, বাফুফে সাধারণ সম্পাদকের চূড়ান্ত গন্তব্য ফিফা সদর দপ্তর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাফুফের এক কর্তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ফিফার সেই কারণ দশার্নো নোটিশের সমাধান করতেই তো সাধারণ সম্পাদক এখন জুরিখে? জবাবে তিনি বলেন, জ্বী, আপনি ঠিক বলেছেন।
আর্থিক অনিয়মে ফিফার কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন বাফুফের একাধিক কর্মকর্তা। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর এ নিয়ে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। ফিফার বেঁধে দেয়া সময়ে অনলাইনে তথ্য পাঠিয়েও ফিফার মন জয় করতে পারেননি সাধারণ সম্পাদক। আর তাই সশরীরে দ্বারস্থ হতে হয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থায়। আরও প্রকট হয় সফরসঙ্গীদের তালিকা দেখে।
শোকজ পাওয়া অর্থ সহকারী অনুপম সরকার আছেন সেই তালিকায়। জাতীয় দলের খরচের নানান হিসাব রাখার পাশাপাশি মিডিয়া ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করা হাসান মাহমুদের নামও আছে। জুরিখের এই সফর কতটুকু গুরুত্ব বহন করে, তার প্রমাণ কম্পিটেশন ডিপার্টমেন্ট হেড জাবের বিন তাহের আনসারির গমন। সঙ্গে আছেন আইনজীবীও।
কারণ দর্শানো নোটিশ পাওয়া অর্থ বিভাগের প্রধান আবু হোসেন ইতোমধ্যেই দেশ ছেড়েছেন। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে আছেন অস্ট্রেলিয়ায়। এই বাফুফে কর্মকর্তার দেশান্তর হওয়ার চেষ্টা নিয়েও সংবাদ প্রচারিত হয়। এত এত অভিযোগ থাকার পরও ফুটবল ফেডারেশন কিভাবে তাকে দেশ ছাড়ার অনুমতি দেয়?
খুলনা গেজেট/ বি এম এস