অন্তর্বর্তী সরকারে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে শপথ নেওয়া দুই উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না, তা নিয়ে বেশ জোর আলোচনা চলছে রাজনীতির মাঠে।
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহের কথা আগেই জানিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ। তবে কোনো দলের প্রার্থী হবেন না কি স্বতন্ত্র পদে দাঁড়াবেন, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছিলেন তিনি।
অন্যদিকে মাহফুজ আলম নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন বলে কয়েকদিন আগে এনসিপির এক সভায় বক্তব্য দেন তার ভাই মাহবুব আলম।
সম্প্রতি বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সাথে দেখা করে কয়েকজন উপদেষ্টার বিষয়ে তাদের আপত্তি জানান। এনিয়ে চলমান আলাপ-আলোচনার মধ্যেই গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দুই উপদেষ্টাকে পদত্যাগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে গত ১৭ অক্টোবর লক্ষ্মীপুরে এনসিপির এক সভায় উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ভাই মাহবুব আলম বলেন, “আগামী সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে প্রার্থী হতে পারেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম”।
গতমাসের শেষের দিকে, এক সংলাপে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, “গত দুই মাস ধরে আমি অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি যে আমি কখন নেমে যাই। মানে আমি কখন নামব আমি জানি না”।
রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে পদত্যাগ চাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি একথা বলেন। ফলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের চাপ এবং নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া, দুই দিক থেকেই মাহফুজ আলমের পদত্যাগের আলোচনাটি সামনে এসেছে।
কিন্তু নির্বাচনের আগ দিয়ে রাজনীতিতে যে সমীকরণ দেখা যাচ্ছে, তাতে করে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের দুজনই যদি পদত্যাগ করেন এবং গণ-অভ্যুত্থানের সাথে সংশ্লিষ্ট কেউই যদি সরকারে না থাকেন, তবে সার্বিক পরিস্থিতির ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না বলে মনে করছেন গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া কেউ কেউ।
আর তাই আসিফ মাহমুদ নির্বাচনে অংশ নিলেও মাহফুজ আলম নির্বাচন না করে সরকারে থাকার কথাই ভাবছেন বলে তাদের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে।
নির্বাচনের আগে কেবল শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের থেকে হওয়া দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ চাওয়ার বিষয়টিকে সন্দেহের চোখে দেখছেন এনসিপি নেতারা। রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে দুইজন উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি এবং সরকার থেকে তাদের পদ ছাড়ার পরামর্শকে পরিকল্পিত বলেই মনে করছেন তারা।
তারা বলছেন, নানা পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে অন্তর্বতী সরকার গঠন করা হয়েছিল। গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তারা সরকারে গেছেন।কিন্তু সরকারে গঠনের ছয় মাস পর আত্মপ্রকাশ করা এনসিপির সাথে তাদের মিলিয়ে “প্রচারণা কিংবা পদত্যাগ করতে বলা উদ্দেশ্যমূলক”।
“দুই উপদেষ্টাকে দলীয় হিসেবে দেখানোর প্রবণতা যদি থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে অনেক উপদেষ্টাই আছেন যাদের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। যারা কোনো একটা দলকে সরকারের ভেতরে থেকে সমর্থন করে যাচ্ছেন”, বলেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
তার দাবি, কেবল পূর্বতন রাজনৈতিক পরিচয় বা সখ্যতার বিষয়কে দলীয় হিসেবে বিবেচনা করা হলে সরকার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অনেকেই বিএনপি ও জামায়াতের সাথে গভীর সখ্যতা রেখে চলেন। ফলে তাদের জায়গাটাও পুনর্গঠন করা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
খুলনা গেজেট/এএজে
								
    
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
