শীতকাল ত্বক ও চুলের জন্য সুবিধার ঋতু নয়। এসময় ত্বকের মতো চুলেরও নিতে হয় বাড়তি যত্ন। আবার অধিক যত্ন নিতে গিয়ে ভুলও করা যায় না। এতে চুল রুক্ষ হয়ে যায়, চুল পড়াও বেড়ে যায়।
শীতে চুল ভালো রাখতে যেসব ভুল করা যাবে না-
অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার
শীতে সবাই গোসলে ঠান্ডা পানির বদলে গরম পানি ব্যবহার করেন। কেননা মাথায় ঠান্ডা পানি ঢাললেই নাক দিয়ে পানি পড়ে, সর্দি-কাশি লেগে থাকে। আবার প্রতিদিন গরম পানিতে গোসল করলে চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে যায় এবং চুল ও স্ক্যাল্প খুব শুষ্ক হয়ে যায়। তাই অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার না করে, কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। ঠান্ডা পানির সঙ্গে অল্প গরম পানি মিশিয়ে মাথায় ঢালুন।
শ্যাম্পু করার আগে তেল না দেওয়া
শ্যাম্পু করার আগে চুলে তেল মাখুন। তেল আপনার চুল ও স্ক্যাল্পের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি চুলের গোড়া মজবুত করবে, চুল ঝলমলে দেখাবে। তা ছাড়া স্ক্যাল্পে তেল মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। হট অয়েল ম্যাসাজ করলে বেশি উপকার পাবেন।
রোজ শ্যাম্পু করা
শীতে চুলে বেশ ময়লা জমে। তাই অনেকে রোজ শ্যাম্পু করেন। কিন্তু এটি করা যাবে না। সপ্তাহে ২-৩ বার শ্যাম্পু করুন। চুলের শুষ্ক ভাব এড়াতে ভালো মানের শ্যাম্পু ব্যবহার করা জরুরি। তাই সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে সপ্তাহে একদিন ক্লারিফাইং শ্যাম্পু এবং একদিন হাইড্রেটিং শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
কন্ডিশনার ব্যবহার না করা
অনেকে সময়ের অভাবে শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করেন না। এতে চুল রুক্ষ হয়, চুল ঝরে যায়। চুলের মাঝখান থেকে ডগা পর্যন্ত ভালো করে কন্ডিশনার মাখুন। ২-৩ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে নিন। কন্ডিশনার চুলের ময়েশ্চার ধরে রাখে। শুষ্ক আবহাওয়ার মধ্যেও চুলকে নরম ও কোমল রাখে।
হেয়ার ড্রায়ার, স্টাইলিং টুলসের ব্যবহার
চুল তাড়াতাড়ি শুকানোর জন্য হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না। এমনকি স্টাইলিং টুলসও এড়িয়ে চলুন। এতে চুল বেশি নষ্ট হয়। শীতকালে চুল আরও শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে ওঠে। এছাড়া চুল ভালো রাখতে বাইরে গেলে বেঁধে রাখুন।
খুলনা গেজেট/এনএম

