খুলনা আদালতের প্রধান ফটকের পাশে দুই খুনের তদন্তে গতি নেই। ৯ দিন অতিবাহিত হলেও হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। সন্দেহভাজন হিসেবে রিপন নামে এক যুবককে আটক করলেও তাকে নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক।
রিপনের পরিবার, এলাকাবাসী ও নিহতের হাসিবের পরিবারের দাবি, রিপন নির্দোষ। হত্যাকাণ্ডের সময় ফকিরহাট উপজেলার ফলতিতা মৎস্য বাজারে থাকা রিপনের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখিয়েছে তারা। তারপরও রিপনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
গত ৩০ নভেম্বর আদালতে সোনাডাঙ্গা থানার একটি অস্ত্র মামলার হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে অসংখ্য মানুষের সামনে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় হাসিব হাওলাদার এবং ফজলে রাব্বি রাজনকে। তারা খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশ গ্রুপের অন্যতম সহযোগী হিসেবে পরিচিত।
একটি সূত্র জানায়, গত দু’ থেকে তিন মাস আগে জেলা কারাগারের মধ্যে খুলনার দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনা পরবর্তীতে মারামারিতে রুপ নেয়। পরে পাগলা ঘন্টা বাজিয়ে কারাকর্তৃপক্ষ উভয়পক্ষের উত্তোজনাকে নিয়ন্ত্রণ করে। সেখানে খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশ গ্রুপের সদস্যরা অপর সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর ছোট ভাইকে মারধর করে। ওই ঘটনার সময় হাসিব হাওলাদার কারাগারে উপস্থিত ছিল বলে ওই সূত্রটির দাবি।
সূত্রটি আরও জানায়, এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই মূলত ছক কষতে থাকে খুলনার অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবু। ইতিমধ্যে সোনাডাঙ্গা থানার অস্ত্র মামলায় জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বের হয় হাসিব। তাদের গতিবিধি অনুসরণ করার জন্য সোর্সও নিয়োগ করা হয়। সোর্সের তথ্য পেয়ে খুনীরা তাদের ওপর নির্মম হামলা চালায়।
অগ্রগতি জানতে তদন্ত কর্মকর্তা ও খুলনা থানার ওসি তদন্ত শাহজাহান আহমেদ বলেন, মো. রিপনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে যাদের দেখা গেছে তাদের কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। রিপনকে এ মামলায় রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে কবে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হবে সে তিনি পরিস্কার করে বলতে পারেনি।
খুলনা গেজেট/এনএম

