পাটকল ও শিল্পাঞ্চল পুনরুদ্ধার পর্ষদ সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রয়াত্ত পাটকল চালু, লিজ প্রথা বাতিলসহ ৭দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবি বিজেএমসি চেয়্যারমান ও পাট সচিবের অপসারণসহ বিচার। গতকাল বুধবার স্থানীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, খুলনা শিল্পনগরীর পরিবর্তে মৃত নগরীতে পরিণত হয়েছে। জুলাই এর গণঅভ্যুত্থানে দেশে ২৮৪ জন শ্রমিক আত্মাহুতি দিলেও অন্তবর্তীকালীন সরকার তাদের অবদানকে স্মরণে আনছেনা। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশের রাষ্ট্রয়াত্ত ২৬টি পাটকল বন্ধ করে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা লুটপাট করে সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও পাটকলের মেশিনপত্র পানির দরে বিক্রি করে দিচ্ছে।
মূল্যবান কারখানা গুলো স্বাধীন বাংলাদেশ আমলেও প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি। পাটকলগুলোর মালামাল লুট বন্ধ না হলে এ শিল্পের সাথে জড়িত মেহনতি মানুষ জীবনকে বাজি রেখে লড়াইতে নামবে। এখানে আশ্চর্যের কথা পাটকল বন্ধ হলেও শ্রমিকদের কাউকে চাকরিচ্যুতি ও ছাঁটাইয়ের নির্দেশনা সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা হয়নি। পাঁচ বছর ধরে শ্রমিক কর্মচারীরা কর্মহীন। এ অবস্থায় বন্ধকৃত পাটকলের শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিষদের দাবি জানানো হয়।
প্রেক্ষাপটে উল্লেখ করে বলা হয়, ২৬০ টাকা দিন মজুরিতে পাটকল শ্রমিকদের জীবনযাত্রা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। ন্যূনতম দৈনিক মজুরি ৫৬০ টাকা করার দাবি করা হয়।
শ্রমিক নেতাদের ৭ দফা দাবিসমূহ হচ্ছে, ফ্যাসিবাদি সরকারের প্রজ্ঞাপন, লিজ প্রথা বাতিল, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল চালু, রাষ্ট্রীয় সম্পদ পাচার বন্ধ, ২৬টি পাটকল মিলের শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ, প্রত্যেক শহীদ পরিবারের ক্ষতিপূরণ, সিবিএ নেতাদের নামে মামলা প্রত্যাহার এবং পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০ অবিলম্বে কার্যকর।
সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন শিল্পাঞ্চল পুনরুদ্ধার পর্ষদের পক্ষে শ্রমিক নেতা মোঃ জাকির হোসেন, শামস শারফিন সামন, আলমগীর হোসেন, মোঃ নূরুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, অসিম গাজি, মোঃ মামসুল হক, সিরাজুল ইসলাম, খাদিজা বেগম, মোঃ রাসেল হোসাইন, আমজাদ হোসেন, তামিম, আসিফ, সাদ্দাম, আলাউদ্দীন ও সাকিব প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এমএম

