বৃহস্পতিবার । ২রা অক্টোবর, ২০২৫ । ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩২

ভারতীয় চালের দখলে খুলনার বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

গেল বোরো মৌসুমে খুলনা জেলায় বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকারি খাদ্য গুদামে ৮৫ হাজার মেট্রিক টন চালের মজুত। তারপরও প্রতি মাসে ভারত থেকে চাল আসছে। নানা নামের চাল বাজারে ক্রেতার আকর্ষণ বেড়েছে।

গত সপ্তাহে খুচরা বাজারে আতপ প্রতি কেজি ৪৮-৫০, চিকন ৭৩-৭৪, মাঝারি ৫৭-৬১ ও মোটা চাল ৫৩-৫৫ টাকা দরে বিক্রি হয়। দেশীয় চালের চাহিদা কমেছে দাম বৃদ্ধির কারণে সোমবার বড় বাজারে সর্বনিম্ন প্রতি কেজি ৪৯-৫১ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। চালের দাম নিম্নমুখী এটি বাজার নিয়ন্ত্রণের ফসল।

পাইকারি ব্যবসায়ী পলি এন্টারপ্রাইজের মালিক হায়দার আলী জানান, “এ মাসে তাঁর প্রতিষ্ঠানে ভোমরা থেকে ১০০ মেট্রিক টন চাল এসেছে। রত্না নামক চালের প্রতি কেজির দাম ৪৯ টাকা।”

তিনি বলেন, “স্থানীয় বাজারে সংকট নেই। পূজার কারণে গেল বৃহস্পতিবার থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত স্থল বন্দর বন্ধ থাকবে। এ কারণে আমদানি হবে না।

অপর ব্যবসায়ী জানান, “কুষ্টিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও শেরপুর থেকে চাল আসছে। প্রতি কেজি মিনিকেট ৭০-৭২ টাকা এবং বালাম-২৮ জাতের চাল ৫৪-৫৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ইরি চাল ৪৮ টাকার পরিবর্তে ৪৬ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।”

পাইকারি ব্যবসায়ী গোপাল সাহা জানান, “৪০টি দোকানে শ’ শ’ মেট্রিক টন ভারতীয় চাল মজুত। আমদানিকৃত নাজির শাইল ৭৬ টাকার পরিবর্তে ৭০ টাকা, বাঁশকাঠি ৭৬ টাকার পরিবর্তে ৭৩ টাকা, বালাম ৫৮ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। স্বর্ণা চালের দাম প্রতি কেজিতে দু’ টাকা কমেছে।”

খুচরা ব্যবসায়ী শংকর সরকার জানান, সরুজভোগ ৫০, গিন্নিপাগল ৪৯, বালাম ৫৭ এবং মিনিকেট ৭৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অ.দা.) মোঃ জাকির হোসেন জানান, “নগরীতে সপ্তাহে পাঁচ দিন ১ মেট্রিক টন করে চাল বিক্রি হচ্ছে।”

ক্ষমতার পালা বদলের পর আমদানি ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেয় এনবিআর। চাল আমদানির ক্ষেত্রে কেবল ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রযোজ্য থাকছে। তাও কমিয়ে ২ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এনবিআরের ঘোষণায় বলা হয় আমদানি ব্যায় কেজি প্রতি ১৪ টাকা ৪০ পয়সা কমবে। শুল্ক কমানোর সুযোগ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান থেকে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে চাল আসছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন