নগরীতে সম্মিলিত হোমিওপ্যাথি ওষুধ ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

গেজেট প্রতিবেদন

খুলনা নগরীর ময়লাপোতা মোড়ে অবস্থিত খুলনা হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সকাল ১০ টায় মানববন্ধন শুরু হয়। মানববন্ধনে খুলনার বিভিন্ন অঞ্চলের হোমিও ঔষধ ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। ডা. সৈয়দ আবু সঈদ এর সভাপতিত্বে ও ডা. ফারুক হোসাইন এর সঞ্চালনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ১০ আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রাহেলা রহমতুল্লাহ কর্তৃক জারীকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয় হোমিও চিকিৎসকরা নামের আগে (ডা:) লিখতে পারবে না। যা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। গত বছরের ১৩ নভেম্বর মহান জাতীয় সংসদে পাশকৃত বিষয়ে আবারো (ডা.) না লেখার প্রজ্ঞাপনে দূরবীসন্ধি বৈষম্যমূলক আচরণ। সারাদেশে ৬৭ টি হোমিওপ্যাথি ডিএইচএমএস কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানান।

বক্তারা বলেন, অবিলম্বে এই আদেশ প্রত্যাহার করতে হবে, না হলে আমরা মাঠে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করে নিবো।

চিকিৎসকবৃন্দ আরও বলেন, আমরা এদেশের নাগরিক, দরকার হলে আমরা ট্রেড লাইসেন্স ফি, ভ্যাট, ট্যাক্স সব দেওয়া বন্ধ করে দিব। প্রয়োজনে চেম্বার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিবো, কলেজের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।অবিলম্বে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টাকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর আশু সমাধান করার জন্য দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ডা. জাকিরুল ইসলাম, ডা. মানিক লাল চন্দ, ডা. মো. খায়রুল আলম, ডা. তারক চন্দ্র রায়, ডা. কাজী আব্দুল হান্নান, ডা. হাসানুজ্জামান, সেলিম হোসাইন, ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন, ডা. শাহীন আহসান, ডা. গাজী আব্দুল আজিজ, ডা. আজহারুল ইসলাম, ডা. শেখ রেজোয়ান, ডা. সৈয়দ আবু নাসের, ডা. নিরঞ্জন কুমার অধিকারী, ডা. স্বপন দাশ,আজমল হোসেন, ডা. এস কে নাসির, ডা. মিহির কান্তি, ডা. খাদিজা আক্তার প্রমুখ।

বক্তারা ৮ দফা দাবি সমূহ পেশ করেন এবং তা বাস্তবায়নের জন্য প্রধান উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও খুলনা জেলা প্রশাসক এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

দাবি সমূহ-
১। বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) আইন ২০১০এর ২৯(১) নং ধারা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নামের পূর্বে ডাক্তার (ডা.) পদবি ব্যবহার না করার নির্দেশ বাতিল করতে হবে।

২। ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর জাতীয় সংসদে পাশ কৃত ডাক্তার (ডা.) লেখা আইন বলবৎ রাখতে হবে।

৩। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আইন ২০১৮ কর্তৃক স্বীকৃত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের ডাক্তার (ডা.) পদবি লেখার আইন বহাল রাখতে হবে।

৪। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিলে, চেয়ারম্যান, পদে হোমিওপ্যাথি বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ দিতে হবে।অবিলম্বে কাউন্সিল গঠন করতে হবে।

৫। হোমিওপ্যাথি ওষুধের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের বিষয়টির জটিলতা নিরসন করতে হবে।

৬। হোমিওপ্যাথি শিক্ষক কর্মকর্তা, কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ করতে হবে।

৭। সকল বিভাগে ১টি করে সরকারি বিএইচএমএস কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ডিএইচএমএস ইন্টার্ণী চিকিৎসকদের ভাতা চালু করতে হবে।

৮। দেশের সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও জেলা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিএইচএমএস ও ডিএইচএমএস চিকিৎসক নিয়োগ দিতে হবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন