Edit Content
খুলনা বাংলাদেশ
বুধবার । ২৩শে জুলাই, ২০২৫ । ৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

১৫ বছরেও সংস্কার হয়নি তেরখাদার রামমাঝি–আড়ফাঙ্গাসিয়া রাস্তা

তেরখাদা প্রতিনিধি

মাত্র ২ কিলোমিটার দীর্ঘ রামমাঝি থেকে আড়ফাঙ্গাসিয়া ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘ ১৫ বছরেও সংস্কারের মুখ দেখেনি। তেরখাদা উপজেলার সদর ইউনিয়নের এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে কাদা ও গর্তে ভরে গেছে পুরো রাস্তা। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শত শত শিক্ষার্থী, রোগী, কৃষক ও স্থানীয় সাধারণ মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাস্তাটিতে সর্বশেষ ইটের সলিং (এইচবিবি) দেওয়া হয়েছিল প্রায় ১৫ বছর আগে। এরপর থেকে আর কোনো ধরনের সংস্কার হয়নি। বর্তমানে রাস্তাজুড়ে দেখা দিয়েছে বড় বড় গর্ত, অনেক জায়গায় ইট উঠে গেছে এবং বর্ষার পানিতে সৃষ্টি হয়েছে কাদা-পানির স্তুপ।

স্থানীয় বাসিন্দা অ্যাডভোকেট মো. মশিউর রহমান (নান্নু) বলেন, এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা বছরের পর বছর এমনভাবে পড়ে থাকাটা খুবই কষ্টদায়ক। এখানে প্রতিদিন স্কুলগামী শিশু, গর্ভবতী নারী, রোগী ও কৃষকরা চলাচল করেন।

একই কথা জানান স্থানীয় জনতা ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান (বাচ্চু মোল্লা), সাবেক সেনা সদস্য মো. তারেক হোসেন (পিলু মোল্লা), শিক্ষক মো. লিটু মোল্লা ও শিক্ষার্থী মো. রাশেদ মোল্লা। তাঁদের অভিযোগ, রাস্তাটি দিয়ে হেঁটে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

ভ্যানচালক সোহাগ হোসেন বলেন, রাস্তায় ইট উঠে গিয়ে বড় গর্ত হয়ে গেছে। কাদার জন্য গাড়ি চালানো এখন খুব বিপজ্জনক। যাত্রীও কমে গেছে, ভাড়া বাড়াতে হচ্ছে।

এলাকাবাসীর ভাষ্য, রাস্তার বেহাল দশার কারণে কৃষিপণ্য সময়মতো বাজারে নেওয়া যাচ্ছে না। ফলে ফসল নষ্ট হচ্ছে, কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং পরিবহন ভাড়াও বেড়ে গেছে।

সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল হক বলেন, এলাকাবাসীর দাবি একেবারেই যৌক্তিক। আমরা বারবার উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। দ্রুত কার্পেটিং কাজ শুরু হোক, এই দাবি জানাচ্ছি।

তেরখাদা উপজেলা প্রকৌশলী ভাস্কর মৃধা খুলনা গেজেটকে বলেন, রামমাঝি থেকে আড়ফাঙ্গাসিয়া ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটি সম্প্রসারণ ও পিচ ঢালাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

তবে এলাকাবাসীর দাবি, আশ্বাস নয়, তারা চলতি বর্ষা মৌসুমেই সড়কের দৃশ্যমান সংস্কার কাজ শুরু হতে দেখতে চান। দীর্ঘ ১৫ বছরের অবহেলার অবসান চেয়ে তাঁরা বলেন, এই সড়কটি যেন আবারও চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়, সেটাই এখন তাঁদের একমাত্র প্রত্যাশা।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন