Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
শুক্রবার । ২৫শে জুলাই, ২০২৫ । ১০ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

তেরখাদায় সদ্য সংস্কার করা রাস্তায় ভাঙন, দুর্ভোগে হাড়িখালী গ্রামের বাসিন্দারা

তেরখাদা প্রতিনিধি

তেরখাদা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হাড়িখালী গ্রামের মান্দারতলী থেকে হাড়িখালী হাইস্কুল পর্যন্ত রাস্তাটি সম্প্রতি সংস্কার করা হলেও কয়েকদিনের ব্যবধানে তা ভেঙ্গে পড়েছে। বিশেষ করে জাহাঙ্গীর শেখ ও বাবু গাজীর বাড়ির পাশের অংশে রাস্তা ভেঙে পিচ উঠে গিয়েছে এবং কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই এই অবস্থার ফলে এলাকায় চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় সালাহউদ্দিন লাভলু, বাহারুল ইসলাম বাবলু, সেলিম আহমেদ ও ইমরান হোসেন জানান, বহু প্রতীক্ষার পর রাস্তাটি পাকা করা হয়েছিল, কিন্তু নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও তদারকির অভাবসহ সদ্য সংস্কার হওয়া কাজ দ্রুত নষ্ট হয়ে গেছে।

তারা আরও বলেন, রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য শিক্ষার্থী, কৃষক ও সাধারণ মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু এখন রাস্তা ভেঙ্গে খালের গর্তে বিলীন হয়ে যাওয়ার কারণে চলাফেরা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

হাড়িখালী গ্রামের স্কুল শিক্ষক আশরাফুল আলম বাবু বলেন, পাকা রাস্তার স্বপ্ন দেখেছিলাম বহুদিন ধরে। কিন্তু সংস্কারের মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে এর যা অবস্থা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। এমন দুর্বল কাজ করে জনগণের অর্থের অপচয় করা হয়েছে।

স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে বর্ষার সময় শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙা রাস্তা মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হচ্ছে, যা তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত রাস্তাটি মেরামত ও টেকসইভাবে পুনর্নির্মাণ করতে হবে। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এবং এই বিষয়ে প্রশাসনের জোরালো হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এ বিষয়ে জানতে তেরখাদা উপজেলা প্রকৌশলী ভাস্কর মূধা জানান, “রাস্তার নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই এমন ভাঙনের খবর পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এলাকাবাসীকে অনুরোধ করবো ধৈর্য ধরার জন্য, আমরা খুব শিগগিরই আবারো সংস্কার কাজ শুরু করব।

রাস্তার ভাঙন প্রসঙ্গে তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)জান্নাতুল আফরোজ স্বর্ণা বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেই উপজেলা প্রকৌশলীকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি।

তিনি বলেন, “সরকারি অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং জনগণের ভোগান্তি কমানো আমাদের অগ্রাধিকার। স্থানীয়দের যাতে আর দুর্ভোগ না পোহাতে হয়, সে বিষয়ে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।”

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন