Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
শুক্রবার । ২৫শে জুলাই, ২০২৫ । ১০ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

খুলনায় মরা গরুর মাংস জব্দ, গ্রেপ্তার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক 

খুলনায় বিক্রির উদ্দেশ্যে আনা ৪ মণ ৩০ কেজি মরা গরুর মাংসসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে তাদের সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন গল্লামারী এম এ বারী সড়কস্থ ওয়ালটন শোরুমের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে একটি পিকআপও জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় সোনাডাঙ্গা থানায় খাদ্য নিরাপত্তা আইনে মমলা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, ঝিনাইদাহ জেলার মহেশপুর উপজেলার নিকারীপাড়া জলিলপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল লতিফের ছেলে মো. মমিন এবং সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন আলীর ক্লাব সংলগ্ন আল আমিন মহল্লার বাসিন্দা সোহেল হাওলাদারের ছেলে তামিম হাওলাদার।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ তদন্ত মিজানুর রহমান বলেন, এএসআই মো. আলিম হোসেন সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন গল্লামারী এম এ বারী সড়কে চেকপোষ্ট বসিয়ে তল্লাশী করছিলেন। সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে একটি পিকআপ যার নং ন-১১-১২৯০ বারী সড়কে প্রবেশ করলে তার মনে খটকা লাগে। এ সময়ে পিকআপ থামিয়ে মো. মমিনকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় গাড়িতে গরুর মাংস রয়েছে। ৪ মণ ৩০ কেজি পরিমাণ মাংস পলিথিনের ওপর অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তার সন্দেহ আরও ঘনীভুত হয়। এ সময়ে তিনি মোমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় সোনাডাঙ্গা থানাধীন আল আমিন এলাকার বাসিন্দা তামিমের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য মাংস চুয়াডাঙ্গা থেকে আনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এরপর ঘটনাস্থলে ডেকে নেওয়া হয় তামিমকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মাংসের প্রকৃত মালিকের নাম ও ঠিকানা পুলিশের কাছে জানায় সে। পুলিশ মাংসের প্রকৃত মালিক চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবন নগর উপজেলার সাহারেজ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করে। এ সময়ে তিনি পুলিশকে জানায় বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় গরুটি স্টোক করলে জবাই করা হয় এবং ৬৩ হাজার টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করা হয়। রাত ৩ টার দিকে গরুর মাংস পিকআপে করে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, উল্লেখিত আসামিরা বিভিন্ন জায়গা থেকে রোগাক্রান্ত এবং মৃত গরুর মাংস সংগ্রহ করে খুলনা মহানগরের বিভিন্ন হোটেলে সরবারাহ করে থাকে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে খাদ্য নিরাপত্তা আইনের ২০১৩ সালের ৫৮ তফসীলে ক্রমিক নং ১৫ এর ৩৪ ধারায় থানায় মামলা হয়েছে। জব্দ হওয়া মাংস হতে পরীক্ষার জন্য ১ কেজি রাখা হয়েছে বাকী অংশটুকু আদালতের নির্দেশে ধব্বংস করা হবে বলে তিনি জানান।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন