বুধবার । ১৯শে নভেম্বর, ২০২৫ । ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

কমছেনা নিত্যপণ্যের দাম, অস্বস্তিতে ক্রেতারা

তেরখাদা প্রতিনিধি

তেরখাদার হাট-বাজার গুলোতে নিত্যপণ্যের দামে সুবাতাস বইছে না এখনো। চাল,ডাল, আটা, সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, আলুসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। স্বস্তিতে কেনাকাটার দাবি ক্রেতাদের।

উপজেলা সদরের কাটেঙ্গা, জয়সেনা, তেরখাদাসহ বিভিন্ন বাজারে নিত্যপণ্যের চড়া দাম অব্যাহত রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পেঁয়াজের ঝাঁঝ কাঁদাচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ধনী থেকে দরিদ্র সকলের ঘরের প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য পেঁয়াজ এবং আলু বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। স্বস্তি মিলছে না অন্যান্য নিত্যপণ্যেও।

বৃষ্টির কারণে বেড়েছে কাঁচামরিচের ঝাঁজ। কাটেঙ্গা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে। কয়েকটি সবজির দাম কিছুটা কমলেও বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামেই। পটল, ঢেঁড়স, চালকুমড়া ৩০ টাকা, কাঁচকলা, শসা, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, ধুন্দল ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । ঝিঙে,কচুর মুখি, ওল ৬০ টাকা, কাকরোল,কচুরলতি,বরবটি ৭০ টাকা, উচ্চে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে।

সদর এলাকার এম ফরিদ আহমেদ বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে, নিত্যপণ্যের দাম আরও বেড়ে যায় কিনা সে আতঙ্কে আছি।

ইখড়ি এলাকার বাদশা বলেন, বাজার খুব অস্বস্তির একটি জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমরা একটু শান্তিতে বাজার করতে চাই।

জয়সেনা এলাকার টুলু মোল্লা বলেন, আগে তো খেয়ে বাঁচতে হবে। বাজারে কোনো হেরফের হয়নি। এটা খুব দ্রুত পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন। নতুন সরকারের কাছে আমরা এটাই আগে চাইছি।

মুদি দোকানি মালায় সাহা বলেন, দাম কমলে সেটা সবার জন্যই ভালো। তাই নিত্যপণ্যের দাম কমানোর জন্য সরকারের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকতে হবে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজিতে।সোনালী মুরগি ২৫০ টাকা। লেয়ার মুরগি ৩৩০ টাকা। দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা। গরুর মাংস ৭৩০ থেকে ৭৫০ টাকা।খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা। ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকা কেজিতে। ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা হালিতে। সোনালী মুরগির ডিম ৫৬ টাকা। দেশি মুরগির ডিম ৬৪ টাকা।হাঁসের ডিম ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে চালে বাড়তি দাম অব্যাহত রয়েছে। প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আঠাশ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, কাজললতা ৬০ থেকে ৬২ টাকা, বাসমতি ৮০ থেকে ৮৮ টাকা, নাজিরশাইল ৭৫ থেকে ৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কাটেংঙ্গা বাজারের চাল বিক্রেতা কামরুল শেখ বলেন, নিত্যপণ্যের দাম কমলে আমরাও খুশি।পরিবার পরিজন নিয়ে আমরাও শান্তিতে বাঁচতে চাই।একই কথা জানান সবজি বিক্রেতা শরিফুল শেখ।

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন