বৃহস্পতিবার । ২০শে নভেম্বর, ২০২৫ । ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

জাতীয় শোক দিবসে খুলনা মহানগর আ’লীগের আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডি এ বাবুল রানা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু’র জন্ম না হলে বাঙালী জাতি পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্ত হতো না। তিনি ছাত্রাবস্থা থেকেই অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন। সেকারনেই তিনি সকল ধর্ম বর্ণের মানুষকে নিয়ে বাঙালির অধিকার আদায়ের জন্য ধীরে ধীরে মুক্তির আন্দোলন সৃষ্টি করেছিলেন। তাঁর দীর্ঘ রাজনীতির ফসল হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালিকে স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়া। সেকারনেই বঙ্গবন্ধু সকল ধর্মের মানুষকে একত্রিত করে বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্ত করেছিলেন। তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবেসে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি সন্তানদের থেকে বাবা ডাকটি শুনতে পারেননি। সন্তানরাও বাবাকে বাবা বলে ডাকতে পারে নি। বঙ্গবন্ধুর এই যে ত্যাগের আদর্শ এটি আমাদেরকে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। তাহলে এই প্রজন্ম দেশ প্রেমে নিজেকে উদ্বুদ্ধ করবে। আর তখনই সফল ও স্বার্থক হবে বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের আত্মত্যাগ।

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মল্লিক আবিদ হোসেন কবীরের সভাপতিত্বে এবং খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শোক সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক হাফেজ মো. শামীম, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা, নির্বাহী সদস্য অধ্যা. রুনু ইকবাল, মহানগর কৃষক লীগের আহবায়ক এ্যাড. একেএম শাহজাহান কচি, মহানগর শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার ঘোষ, মহানগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা শ্যামল সিংহ রায়, নুর ইসলাম বন্দ, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, বিরেন্দ্র নাথ ঘোষ, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ নুর মোহাম্মদ, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, এস এম আকিল উদ্দিন, এ্যাড. আব্দুল লতিফ, অধ্যা. আদেল মুকুল, মোস্তফা কামাল, মো. আমির হোসেন, চৌধুরী মিনহাজ উজ্জামান সজল, আব্দুল হাই পলাশ, জাহিদুল হক, এমরানুল হক বাবু, মো. মোতালেব মিয়া, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, মীর মো. লিটন, নুরজাহান রুমি, হাবিবুর রহমান দুলাল, জেসমিন সুলতানা শম্পা, রেজওয়ানা প্রধান, কবীর পাঠান, তোতা মিয়া ব্যাপারী, আব্দুল কাদের শেখ, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ,মো. শহীদুল হাসান, আইরিন চৌধুরী, নাসরিন সুলতানা, আশরাফ আলী শিপন, ইবনুল হাসান, মাহামুদুর রহমান রাজেশ, শংকর কু-ু, ওমর কামাল সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

স্মরণ সভার শুরুতেই বঙ্গবন্ধু সহ ১৫ আগস্টে সকল শহীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভা শেষে মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করন, কালো পতাকা উত্তোলণ, কালো ব্যাজ ধারণ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, সকাল ৮টায় খুলনা বেতারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, সকাল সাড়ে ৯টায় মহানগর কার্যালয় সহ সকল ইউনিট কার্যালয়ে কোরান খানি, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার, বাদ জোহর প্রত্যেক মসজিদে দোয়া মাহফিল ও মন্দির, গীর্জা এবং প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। খালিশপুর, দৌলতপুর ও খানজাহান আলী থানা অনুরুপ কর্মসূচি পালন করেন। খবর বিজ্ঞপ্তি।

খুলনা গেজেট/কেএম/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন