Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার । ২১শে আগস্ট, ২০২৫ । ৬ই ভাদ্র, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content
বন্ধের নির্দেশ অমান্য করেই কাজ করছেন ঠিকাদার

ঝিনাইদহে ২৩ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের ডাকবাংলা বাজার ত্রীমোহনী থেকে কালীগঞ্জ পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার সড়ক ও ২১২ মিটার আরসিসি পাকা ড্রেন নির্মাণে চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের কাজের খবর পেয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বদরুদোজা শুভ রাস্তা ও ড্রেনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। কিন্তু একদিন না যেতেই নির্দেশ অমান্য করে সেই কাজ শুরু করেছে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগ ও ঠিকাদার। এ নিয়ে এলাকায় চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভ বলেন, ‘সরেজমিন পরির্দশনে দেখেছি অত্যন্ত নিন্মমানের রড, পাথর, বালি সিমেন্ট ব্যবহার করে সড়কটির পাশে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে আমি ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দারের মোবাইল ফোন করে বিষয়টি জানালে তিনি আমাকে সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর সাথে কথা বলতে বলেন।’

ইউএনও বলেন, ‘আমি তাৎক্ষনিক ভাবে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।’ ইউএনও অভিযোগ করেন, আমার নির্দেশ অমান্য করে সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মুকুল জ্যোতি বসু ও ঠিকাদার মিলে আবারো নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ শুরু করেছেন।’

এদিকে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মুকুল জ্যোতি বসু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘সিডিউল মোতাবেক নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন,’ পিএমপি প্রকল্পের অধিন ঝিনাইদহের ডাকবাংলাবাজার-কালীগঞ্জ সড়কের ২৩ কিলোমিটার মজবুতি করণসহ ওয়ারিং কোর্সের কাজ চলছে। খুলনার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড কাজটির প্রকৃত ঠিকাদার। তবে কাজটি করছেন ঝিনাইদহের ঠিকাদার মিজানুর রহমান মাসুম। এ সড়কটির নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ কোটি টাকার উপরে। ‘

তিনি বলেন, ‘সড়কের পানি নিস্কাশনের জন্য ডাকবাংলা বাজার এলাকায় ২১২ মিটার আরসিসি পাকা ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। এ কাজের জন্য আলাদা ভাবে প্রায় ২৯ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ড্রেনটি নিমার্ণ কাজের জন্য আমিনুল হক এন্টার প্রাইজ নামের অপর এক ঠিকাদারকে নিয়োগ করা হয়েছে।’

উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মুকুল জ্যোতি বসু আরো জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তার দাবি সড়কের পাশে স্তুপ করে রাখা নিন্মমানের পাথরসহ নির্মাণ সামগ্রী আগে থেকেই বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।’

ডাকবাংলা বাজারের মানুষ অভিযোগ করেছেন, ডাকবাংলা ত্রীমোহনি থেকে কালীগঞ্জ সড়ক নির্মাণের সময় ট্রাক্টর দিয়ে রাস্তায় চাষ করা হয়েছে। সড়কে ব্যবহার করা হচ্ছে নিন্মমানের রাবিস ইটের খোয়াসহ ধুলা-বালি। গত ( ২০১৯-২০) অর্থ বছরে কাজটি শুরু করা হয়েছে।’

অনুসন্ধানে জানা যায়, ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের ওর্য়াক চার্জ (অস্থায়ী) হিসেবে এক কর্মচারীকে দিয়ে এসও এর কাজ করানো হচ্ছে।এ কারণে সড়ক বিভাগের প্রায় সব কাজ দুই নাম্বারী ভাবে করা হচ্ছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন