যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে মসজিদের এক মুয়াজ্জিনকে হাতুড়িপেটা করা হয়েছে। তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত মুয়াজ্জিন মনিরুজ্জামান বাঘারপাড়া উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের তোরাব মোল্লার ছেলে। তিনি আন্দুলবাড়িয়া পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে কর্মরত।
আহত মনিরুজ্জামান জানান, রোববার সন্ধ্যার দিকে তিনি বাইসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় একই গ্রামের রাজু ও পলাশ তার পথরোধ করে। কোনো কিছু বোঝার আগেই তারা পেছন দিক থেকে হাতুড়ি নিয়ে তার ওপর হামলা চালায় এবং বেধম পেটাতে থাকে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে অভিযুক্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
মুয়াজ্জিম মনিরুজ্জামানের পরিবার অভিযোগ করেছে, আওয়ামী লীগ সরকার আমলে মনিরুজ্জামানের আপন দুই চাচা উথান মোল্লা ও এরশাদ মোল্লা তার পৈত্রিক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলে নেন। তাদের পক্ষে রাজু ও পলাশকে ভাড়াটিয়া হিসেবে ব্যবহার করে। সম্প্রতি স্থানীয়রা শালিশ করে ওই জমি ফেরত দেয়ার জন্য বলে। তারা রাজিও হন জমি ফেরত দিতে। কিন্তু রাজু ও পলাশ বাধা হয়ে দাড়ায়। জমি সংক্রান্ত বিবাদ ও দখলমুক্ত করার প্রচেষ্টার জেরেই তার ওপর এ হামলা চালানো হয়েছে।
মুয়াজ্জিম মনিরুজ্জামানের ছেলে শফিকুল ইসলাম জানান, যুবলীগ নেতা রাজু ও সাবেক ইউপি সদস্য পলাশ সাবেক এমপি পুত্র যুবলীগ নেতা রাজিব রায়ের ক্যাডার হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তারা এলাকায় জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াতো এবং চাচাদের যোগসাজশে তাদের জমি দখল করে নিয়েছিল। এরই জের ধরে তার বাবার উপর হামলা চালানো হয়েছে। শফিকুল ইসলাম অবিলম্বে বিষয়টি পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার হাসিবুর রহমান জানান, হাসপাতালে ভর্তি ব্যক্তির পায়ে, ঘাড়ে ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে বাঘারপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহামুদুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় আমরা কোনো তথ্য পাইনি। মুয়াজ্জিমকে হাতুড়ি পেটার ঘটনায় কেউ থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেননি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম

