বুধবার । ৫ই নভেম্বর, ২০২৫ । ২০শে কার্তিক, ১৪৩২

ঝিকরগাছায় ভ্যানচালক মাসুম বিল্লাল হত্যা মামলার রহস্য উদ্‌ঘাটন, গ্রেপ্তার ৩

ঝিকরগাছা প্রতিনিধি

যশোরের ঝিকরগাছায় ভ্যানচালক মাসুম বিল্লাল ওরফে মাসুদ রানা হত্যা মামলার রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার এবং নিহতের ব্যাটারিচালিত ভ্যানগাড়িটি উদ্ধার করেছে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শার্শার উলশী গ্রামের বাসিন্দা ও সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার যুগিপুকুর গ্রামের সোহরাব সরদারের ছেলে কামরুজ্জামান সরদার ওরফে কামরুল, একই গ্রামের শরিফুল ইসলাম এবং আলী হাসান (২৫)।

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, গত ৬ অক্টোবর সকালে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন মাসুম বিল্লাল। পরদিন তার বাবা আজিজ খান শার্শা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরবর্তীতে শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলার বায়শা গ্রামের প্রবাসী রবিউল ইসলামের নির্মাণাধীন বাড়ির জানালার গ্রিলে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় অর্ধগলিত একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের পরনে থাকা পোশাক, গলার ফিতা দড়ি ও মুখে ঢোকানো ভ্যান পরিষ্কারের কাপড় দেখে নিহতের বাবা মরদেহ শনাক্ত করেন।

এ ঘটনায় মাসুমের বাবা আজিজ খান বাদী হয়ে ঝিকরগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি নাভারণ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আরিফ হোসেনের তত্ত্বাবধানে তদন্ত শুরু করেন ঝিকরগাছা থানার ওসি (তদন্ত) মো. আবু সাঈদ।

ওসি জানান, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার (২২ অক্টোবর) গভীর রাতে শার্শা উপজেলার উলশী এলাকা থেকে আলী হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পাটকেলঘাটার যুগিপুকুরিয়া গ্রাম থেকে শরিফুল ইসলাম ও কামরুজ্জামান সরদার ওরফে কামরুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে শার্শার উলশী বাজার থেকে মাসুম বিল্লালের ভ্যানে ওঠেন। পরে ঝিকরগাছার বায়শা গ্রামের পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ভ্যান পরিষ্কারের কাপড় দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মাসুমকে হত্যা করেন। এরপর মরদেহ জানালার গ্রিলে ঝুলিয়ে রেখে ভ্যানগাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান। পরদিন আসামিরা ভ্যানটি বিক্রি করেন। শরিফুল ইসলাম প্রথমে ১৭ হাজার টাকায় ভ্যানটি কিনে নেন এবং পরে ২০ হাজার টাকায় কামরুজ্জামান সরদারের কাছে বিক্রি করেন।




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন