যশোরের শার্শায় আব্দুল্লাহ (২৫) নামে এক ভ্যানচালকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে ডিবি ও থানা পুলিশ। শার্শা উপজেলার নাভারণের কাজীরবেড় গ্রামের একটি বাড়িতে থাকা বাক্সের ভেতর থেকে অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোম্বর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার কাজিরবেড় এলাকার একটি পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ের স্টিলের বাস্ক থেকে এ মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
আব্দুল্লাহ শার্শা উপজেলার সরদার বারিপোতা গ্রামের ইউনুস আলি মোড়লের ছেলে। সে পেশায় একজন ব্যাটারিচালিত ভ্যান চালক ছিল।
গত ১০ অক্টোবর থেকে শার্শার গাতিপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুল্লাহ নিখোঁজ ছিলেন। যশোর ডিবি পুলিশের এসআই অলোক কুমার দে’র নেতৃত্বে একটি দল ক্লুলেস এ ঘটনার তদন্তে মাঠে নামে। টানা তিনদিন জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শেষে মঙ্গলবার ভোরে কাজীরবেড় গ্রামের সুমন সরদারের ঘরের ভেতরে একটি টিনের বাক্সের মধ্যে থেকে ভ্যানচালক আব্দুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের বাবা ইউনুস আলি মোড়ল বলেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে নাভারন বাজারে তার সাথে আমার শেষ দেখা হয়। প্রতিদিন রাতে আব্দুল্লাহ তার ভ্যান নিয়ে বাড়ি ফেরে কিন্তু রাত গভীর হলেও না ফেরায় আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি।
ছেলেকে অনেক খুঁজেও না পেয়ে পরের দিন শনিবার শার্শা থানায় একটি জিডি করেন ইউনুস আলি মোড়ল।
ইউনুস আলী জানান, মঙ্গলবার ভোরে জানতে পারেন তার ছেলেকে পাওয়া গেছে। পরে তিনি যেয়ে লাশ শনাক্ত করেন। তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন ইউনুস।
আব্দুল্লাহর ভাই নাজমুল হোসেন বলেন, আমার ভায়ের খুনিদের বিচার চাই। অভাবের সংসার। এখন তার স্ত্রী ও দুটি সন্তানের ভরনপোষণের দায়িত্ব কে নেবে ?
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়। তাকে জবাই করে একটি বাক্সের মধ্যে ভরে ওই বাড়িতে রেখে দেয় খুনিরা। ‘ব্যাটারির ভ্যান ছিনতাইয়ের জন্যই’ তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। খুনিদের আটকে অভিযান চলছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে ডিবি পুলিশের এসআই অলোক কুমার দে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবেই হত্যা করা হয়েছে আব্দুল্লাহকে। যে বাড়িতে লাশ রাখা হয়েছিল, সেখানে কেউ ছিল না। কেন হত্যা করা হয়েছে এবং কারা জড়িত, তা আমরা তদন্ত করছি। তদন্তের স্বার্থে এখনই বিস্তারিত বলা সম্ভব হচ্ছে না।
খুলনা গেজেট/এনএম

