মঙ্গলবার । ৪ঠা নভেম্বর, ২০২৫ । ১৯শে কার্তিক, ১৪৩২

কাশফুলের শুভ্রতায় মোহনীয় শরৎ পরশ পেতে ছুটছে প্রকৃতি প্রেমীরা

গাজী আবুল হোসেন

সাদা কাশফুলে এক অভূতপূর্ব মোহনীয় দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে যশোরের অভয়নগরে। অভয়নগরের ইপিজেড এলাকার চেঙ্গুটিয়ায় সরকার জুট মিলের পাশে বিস্তীর্ণ বালুর মাঠে। শুভ্রতা ছুঁতে শত শত প্রকৃতিপ্রেমীরা প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিড় জমাচ্ছেন। এই ভিন্নরকম মায়াময় আনন্দে যোগ দিচ্ছেন শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সের নারী ও পুরুষ। ছবি আর সেলফি তুলে স্মৃতি হিসেবে ক্যামেরাবন্দি করছেন নিজেদের স্মৃতির অ্যালবামে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঋতুর রানী শরতের অপরূপ নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর স্নিগ্ধ কোমল কাশফুল তার অপরূপ সৌন্দর্য মেলে ধরেছে। আর প্রকৃতির এমন অপরূপ সৌন্দর্য দেখতেই ছুটছেন প্রকৃতি প্রেমিক রসিক লোকজন। এই বালুর মাঠে ক্লান্তি দূর করে চারদিকে প্রশান্তির মায়াবী আবেশ ছড়িয়ে দিচ্ছে শরতের সাদা কাশফুল। নীলচে আকাশে সাদা মেঘের খুনসুটি আর দিগন্তজোড়া কাশফুলের দোল খাওয়ার দৃশ্য মন কাড়বে যে কোনো বয়সের মানুষের।

উপজেলার চাপাতলা থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী তমার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, “আমরা মনের আকুতি পূরণে বান্ধবীদের সাথে এখানে ছুটে এসেছি। আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারাতে বসেছে শরতের কাশফুল। একটা সময় বিভিন্ন জায়গায় কাশবনের কাশফুলগুলো দোল খেত মৃদু বাতাসে, এখন তেমন দেখা যায় না। তাই অনেক দিন পর এখানে কাশফুল হওয়াতে ঘুরতে এসেছি, ভালো লাগছে অনেক।”

উপজেলার ধোবাদী গ্রামের শাহ্ আলমের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন বলেন, “লোকমুখে শুনে কাশবনে পরিবারসহ ঘুরতে এসেছি। শরতের অপরুপ সৌন্দর্যময় কাশবনে এসে খুব ভালো লাগছে। গোধলীর সময়ে মাঠ জুড়ে সবুজের সমারোহ ও সাদা কাশফুল বাতাসে দুলতে দেখে মনটা সত্যিই আনন্দে ভরে ওঠে।”

কাশবনে পরিবারসহ ঘুরতে এসেছেন উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মেহেদী হাসান মিঠুন তিনি বলেন, “ঘরবন্দি থাকতে থাকতে মন মানসিকতা কেমন যেন হয়ে গেছে। তাই একটু বিকেলটা ভালো কাটাতে এখানে এসেছি। এসে অন্য রকম অনুভূতিতে মন ভরে যায়। কাশফুলের নরম ছোঁয়ায় মনটাও যেন নরম হয়ে যায়।”

অভয়নগরের চেঙ্গুটিয়া গ্রামের সজীব বলেন, “নতুন বিয়ে করেছি তাই নববধূকে নিয়ে এই মোহনীয় রূপের পশরা সাজিয়ে রাখা কাশফুলের মনোরম অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করতে এসেছি। মনে হচ্ছে দুজনে যেন হারিয়ে গিয়েছি এই কাশফুলের অপরূপ সৌন্দর্যে।”

 

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন