Edit Content
খুলনা বাংলাদেশ
বুধবার । ২৩শে জুলাই, ২০২৫ । ৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

যশোরে তিন কিশোর নিহতের ঘটনায় ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারী পুলিশ হেফাজতে

যশোর প্রতিনিধি

যশোর পুলেরহাট শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দি তিন কিশোর নিহতের ঘটনায় কেন্দ্রের ১২ কর্মকর্তা ও কর্মকচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে যশোর কোতয়ালি থানার ওসি ও আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা শিশু কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ) তৌহিদুল ইসলাম জানান, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন কিশোর নিহত হওয়ার ঘটনায় কেন্দ্রের ১২ কর্মকর্তা, কর্মচারী ও আনসার সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ অফিসে আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হেফাজতে নেয়াদের মধ্যে রয়েছেন, যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী তত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহ, সাইকো সোশ্যাল কাউন্সিলর মুশফিকুর রহমান, সিকিউরিটি বিভাগের নুরুল ইসলাম নুরুসহ ১২ কর্মকর্তা কর্মচারী। তাদেরকে যশোর পুলিশ লাইনের ডিবি অফিসে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকতাদের উপস্থিতিতে তাদেরকে কেন্দ্র থেকে ডিবি অফিসে আনা হয়। নিহত নাইমের ভাই শাহাদৎ হোসেন , পারভেজের বাবা রোকা মিয়া ও কাকা আলমগীর হোসেন ও রাসেলের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম, ভগ্নিপতি হাবিবুর রহমান যশোর জেনারেল হাসপাতালে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ‘ভেতরে কোনো সংঘর্ষ নয়, কর্মকর্তারা পরিকল্পিতভাবে তাদেরকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তারা টিভি ও পত্রিকার সংবাদ শুনে ভোরে যশোরে পৌছান। কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে ফোন করলে তাদের বার বার বলা হয়েছে আল্লাহকে ডাকেন।

এছাড়া আহত ১৫ কিশোর জানান, এডি আব্দুল্লাহ আল মাসুদের কক্ষে ফেলে মাসুম বিল্লার নেতৃত্বে তাদের উপর দফায় দফায় নির্যাতন চালানো হয়েছে। বারবার মাফ চেয়ে হাত পায়ে ধরলেও ক্ষমা করেননি কর্মকর্তারা। তুচ্ছ চুলকাটার ঘটনায় তাদেরকে মারপিট ও হত্যা করা হয়েছে।

এর আগে সকালে যশোর কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান, ভিডিপি কর্মকর্তা শিশু কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন