বাগেরহাটে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত সাংবাদিক ও বিএনপি নেতা হায়াত উদ্দিন হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় হায়াত উদ্দিনের মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলায় মোঃ ইসরাইল মোল্লাকে প্রধানসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ১০—১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
গত ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় শহরের হাড়িখালি এলাকায় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক এসএম হায়াত উদ্দিন (৪০) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে একই এলাকার মোঃ ইসরাইল মোল্লা ও তার সহযোগিতারা।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নেয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শনিবার বিকেলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে হায়াত উদ্দিনের লাশের ময়না তদন্ত শেষে লাশ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। ওইদিন রাতে হাড়িখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তার নামাজে জানাজা শেষে নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন হয়।
মামলার প্রধান আসামি মোঃ ইসরাইল মোল্লা হাড়িখালি এলাকার মোঃ আব্দুস ছালাম মোল্লার ছেলে। তিনি বিএনপির কর্মী। দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে।
বাগেরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাহমুদ—উল—হাসান বলেন, নিহত হায়াত উদ্দিনের মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমআর

