শুক্রবার । ৩রা অক্টোবর, ২০২৫ । ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩২

ভাসমান সেতুতে দুই ইউনিয়নের বন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট

বাগেরহাটে স্থানীয়দের নদী পারাপারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোর স্থানে ড্রাম দিয়ে ভাসমান সেতু নির্মাণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। সেতু দিয়ে নির্বিঘ্নে নদী পার হতে পেরে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। শুধু পারাপার নয়, স্থানটি এক সময় ভ্রমণ পিপাসুদের নজর কাড়বে বলে দাবি স্থানীয়দের।

পানিতে সবুজ ড্রামের সারি, আর ড্রামের উপর লাল রঙের লোহার ফ্রেমে কাঠ দিয়ে নির্মিত হয়েছে ভাসমান সেতু। এই সেতু দিয়েই ছবেকি নদীর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ের মানুষ প্রয়োজনীয় যোগাযোগ রক্ষা করছেন।

বাগেরহাট সদর উপজেলার এই নদীটি ডেমা ইউনিয়নকে ভৌগোলিকভাবে দুটি ভাগে ভাগ করেছে। নদীর পূর্ব পাড়ে ইউনিয়ন পরিষদ, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, মাদ্রাসা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ৭টি ওয়ার্ড, আর পশ্চিম পাড়ে রয়েছে ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড। দীর্ঘদিন ধরে প্রায় ১৭০ ফুট লম্বা এই নদীর উপর বাসোর সাকো তৈরি করে নিজেদের যোগাযোগ রক্ষা করত এলাকাবাসী। প্রতিদিন পারাপার হতে হত ঝুঁকি নিয়ে। অনেক সময় ঘটত ছোটোখাটো দুর্ঘটনাও। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোগান্তি কমাতে সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন স্থায়ীভাবে ড্রাম ও কাঠ দিয়ে ভাসমান সেতু তৈরি করে দিয়েছে। যার ফলে স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি কমেছে। যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হয়েছে।

শেফালী রানী জানান, “এখানে একটি বাশের সাঁকো ছিল আমাদের পারাপারে অনেক কষ্ট হতো, বিশেষ করে ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে পারাপারে অনেক ভয় করত। পুরাতন সাঁকোটি নষ্ট হলে আমাদের অনেক দূর থেকে ঘুরে আসতে হতো। এখন এই নতুন সাঁকোটি হয়ে আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে।”

স্কুল ছাত্র সুমন জানান, “বাসের সাঁকো পার হয়ে যেতে আমাদের অনেক সময় লাগতো, আবার সাঁকো নষ্ট থাকলে অনেক রাস্তা ঘুরে আমাদের বিদ্যালয়ে যেতে হতো। এখন খুব সহজে আমরা স্কুলে পৌঁছাইতে পারছি।”

ডেমা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ সোহেল পারভেজ বলেন, “আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর এলাকার জনসাধারণের কষ্ট দূর করার জন্য কিছু করার চিন্তা করি। নদীর উপর একটি সাঁকো ছিল সেখানে একটি স্থায়ী কাঠামো তৈরি করার চিন্তা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করি। ব্রিজ তৈরি করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হবে। পরে একটি ভাসমান সেতু নির্মাণ করার পরিকল্পনা হাতে নেই। ২২ দিন কাজ করে ১৭৬ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট চওড়া সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ৫ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এখন দুটি ওয়ার্ডের সাথে ইউনিয়ন পরিষদের সহজ যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার আমল পরিবর্তন হয়েছে।”

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন