বাগেরহাটে চারটি আসন বহালের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাগেরহাট শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির কো-কনভেনর এম এ সালাম।
এ সময় সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির সদস্য সচিব শেখ মোহাম্মাদ ইউনুস, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর রহমান আলমসহ কমিটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী বইতে স্বাক্ষর দিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
কর্মসূচি ঘোষণাকালে এম এ সালাম বলেন, শুধু গণস্বাক্ষর নয়, আগামী বুধবার ও বৃহস্পতিবার নির্বাচন অফিস ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। পাশাপাশি গণস্বাক্ষর কর্মসূচিও চলমান থাকবে।
প্রসঙ্গত, গেল ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয় নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন তারা। কিন্তু ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনই বহাল রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতৃবৃন্দের দাবি, নির্বাচন কমিশনের এই আসন বিন্যাস গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী—
বাগেরহাট-১: বাগেরহাট সদর, চিতলমারী, মোল্লাহাট
বাগেরহাট-২: ফকিরহাট, রামপাল, মোংলা
বাগেরহাট-৩: কচুয়া, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা
দীর্ঘদিন ধরে জেলায় চারটি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। তখনকার সীমানা ছিল—
বাগেরহাট-১: চিতলমারী, মোল্লাহাট, ফকিরহাট
বাগেরহাট-২: বাগেরহাট সদর, কচুয়া
বাগেরহাট-৩: রামপাল, মোংলা
বাগেরহাট-৪: মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা।
খুলনা গেজেট/এএজে