বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। আগস্ট মাসে কেন্দ্রটি ৭৭১.৭০ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে, যা ৭৮.৫৮ শতাংশ প্ল্যান্ট লোড ফ্যাক্টর (PLF) অর্জন। দেশের মোট উৎপাদিত ১০ হাজার ১০০ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুতের ৭.১৫ শতাংশ এসেছে এ কেন্দ্র থেকে।
বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) আনোয়ারুল আজিম মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, গত তিন মাস ধরে মৈত্রী বিদ্যুৎকেন্দ্র ধারাবাহিকভাবে প্রতি মাসে ৬০০ মিলিয়ন ইউনিটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। এ সময়ে মোট উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৬.৪ মিলিয়ন ইউনিট।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রীর প্রতীক এই বিদ্যুৎকেন্দ্র আমদানিকৃত কয়লার ওপর নির্ভরশীল হলেও আল্ট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। পাশাপাশি আধুনিক পরিবেশ সুরক্ষা ব্যবস্থা—ফ্লু-গ্যাস ডি-সালফারাইজেশন, উন্নত ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক প্রিসিপিটেটর, ২৭৫ মিটার উচ্চতার চিমনি, ক্লোজড-সাইকেল কুলিং এবং জিরো লিকুইড ডিসচার্জ সিস্টেম—ব্যবহার করা হচ্ছে, যা পরিচ্ছন্ন ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করছে।
স্থিতিশীল ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র শিল্পোন্নয়ন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি এবং জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, মৈত্রী বিদ্যুৎকেন্দ্র ইতোমধ্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নের অন্যতম ভিত্তি স্তম্ভে পরিণত হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এসএস