সোমবার । ৩রা নভেম্বর, ২০২৫ । ১৮ই কার্তিক, ১৪৩২

ইতিহাস গড়ে নারী বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ভারত

ক্রীড়া প্রতি‌বেদক

ঘরের মাঠে নতুন ইতিহাস গড়ল ভারতের মেয়েরা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে তৃতীয়বারের চেষ্টায় প্রথমবারের মতো নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল হারমানপ্রীত কৌরের দল। সেই সাথে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের পর চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত। আর প্রথমবার ফাইনালে উঠে আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়ল প্রোটিয়ারা।

রোববার (২ নভেম্বর) নাভি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৯৮ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। লক্ষ্য তাড়ায় ৪৫.৩ ওভারে ২৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা।

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে ফাইনালের ইতিহাসে ১৬৭ রানের বেশি লক্ষ্য ছুঁয়ে জিততে পারেনি কোনো দল। তাছাড়া নারী ওয়ানডে ইতিহাসে দক্ষিণ আফ্রিকাও কখনোই এত বেশি রান তাড়া করে জিততে পারেনি। শিরোপা জিততে তাই কঠিন রান পাহাড়ে চড়তে হতো প্রোটিয়াদের। কিন্তু দ্বীপ্তি শর্মা-শেফালি ভার্মাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে আত্মসমর্পণ করে সফরকারীরা।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বেশ গুছানো ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার পথচলা। তাজমিন ব্রিটসকে নিয়ে দেখেশুনে সূচনা করেন লরা ওয়লভার্ট। কিন্তু বিপত্তি ঘটে দলীয় ৫১ রানের মাথায়, যখন ৩৫ বলে ২৩ রান করা তাজমিন রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। মূলত ধাক্কাটা তখন থেকেই শুরু প্রোটিয়াদের। অধিনায়ক ওয়লভার্ট একপ্রান্ত আগলে রাখলেও ওপরপ্রান্তে উইকেট পড়তে থাকে।

১৪৮ রানে মিডল অর্ডারের পাঁচ ব্যাটারকে ফেরানোর পরও আনেরি ডের্কসেনকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান ওয়লভার্ট। ধাক্কা সামাল দেওয়ার জন্য সবধরণের চেষ্টা চালান দুইজন। তবু দিপ্তী শর্মার বল বুঝে ওঠার আগেই স্ট্যাম্প ভেঙে দেন ডের্কসেনকে। ৩৫ রানে ফেরেন তিনি।

ডের্কসেনের পর ওয়লভার্ট ফেরাতে তখনই পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার। প্রোটিয়া অধিনায়ক ৯৮ বলে ১০১ রান করেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার ১১তম সেঞ্চুরি। ৪১.১ ওভারে ৭ উইকেট হারানো দল তখনো ৭৮ রান দূরে। শেষ পর্যন্ত ২৪৬ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ভারতের হয়ে দিপ্তী ৯.৩ ওভারে ৫ উইকেট নেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট নেন শেফালি ভার্মা, তিনি নেন ২টি।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার শেফালি ভার্মা ও স্মৃতি মান্ধানা ১০৪ রানের জুটি গড়েন। মান্ধানা ৪৫ রানে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ভারতের ওপেনিং জুটি। তবে একপাশ আগলে রেখে ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন আরেক ওপেনার শেফালি। দারুণ ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে ৮৭ রানে আউট হন এই ওপেনার।

দলীয় ১৬৬ রানে শেফালির বিদায়ের পর দ্রুত বিদায় নেন সেমিফাইনালের নায়ক জেমিমা রদ্রিগেজ। ৩৭ বলে ২৪ রান করে এই ব্যাটারের বিদায়ের পর কমে যায় রানের চাকা। শেষদিকে ৫৮ বলে ৫৮ রান করেন দীপ্তি শর্মা। রিচা ঘোষের ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ৩৪ রান।

তাতে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯৮ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৩টি উইকেট নেন আয়াবঙ্গা খাকা এবং ১টি করে উইকেট নেন ক্লোয়ি ট্রাইওন, নাদিন ডি ক্লার্ক ও ননকুলুলেকো এমলাবা।




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন