শুক্রবার । ৩রা অক্টোবর, ২০২৫ । ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩২

পাকিস্তানকে বধ করে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশি বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি পাকিস্তানি ব্যাটাররা। নাহিদা-রাবেয়াদের ঘূর্ণিতে দেড়শ রানও করতে পারেনি তারা। বোলারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়ে ছড়ি ঘুরিয়েছেন টাইগ্রেস ব্যাটাররা। বিশেষ করে রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। তরুণ এই ওপেনারের দুর্দান্ত ফিফটিতে ১১৩ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

কলম্বোতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৮ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান করে পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেছেন রামিন শামিম। জবাবে ৩১ ওভার এক বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দেখে-শুনে খেলার চেষ্টা করেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ফারজানা হক। ১৭ বল খেলে ২ রান করেছেন তিনি। তার বিদায়ে ৭ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। তিনে নেমে ব্যর্থ শারমিন আক্তার। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১০ রান। ৩৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। অধিনায়ককে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬২ রান যোগ করেন ঝিলিক। ২৩ রান করে জ্যোতি বিদায় নিলে ভাঙে সেই জুটি।

বাকি কাজটা সুবহানা মোস্তারিকে সঙ্গে নিয়ে সহজেই সেরেছেন ঝিলিক। দারুণ ব্যাটিংয়ে ওয়ানডে অভিষেকেই করেছেন ফিফটি। সেটাও আবার বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে। সবমিলিয়ে ৭৭ বলে অপরাজিত ৫৪ রান করেছেন তিনি। এ ছাড়া ১৯ বলে অপরাজিত ২৪ রান এসেছে মুস্তারির ব্যাট থেকে।

এর আগে বল হাতে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন মারুফা। ডানহাতি এই পেসারের সুইং আর গতিতে চোখে রীতিমতো সর্ষে ফুল দেখেছেন পাকিস্তানি ব্যাটাররা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ডাবল স্ট্রাইক করেন মারুফা। পঞ্চম বলে ওমাইমা সোহেলকে বোল্ড করেন। পরের বলেই ফর্মে থাকা সিধরা আমিনের স্টাম্প ভাঙেন এই পেসার। দুই ব্যাটারই ডাক খেয়ে সাজঘরে ফিরেছেন। ২ রানে ২ উইকেট হারানো পাকিস্তানকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মুনিবা আলি ও রামিন শামিম। বড় হতে থাকা এই জুটি ভেঙেছেন নাহিদা আক্তার। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৫ বলে ১৭ রান করেছেন মুনিবা।শামিমকেও ফিরিয়েছেন নাহিদা। এই বাঁহাতি স্পিনারকে ফিরতি ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩৯ বলে ২৩ রান করেছেন শামিম। দলীয় ফিফটির আগেই ৪ উইকেট হারানো পাকিস্তানের বিপদে আরো বাড়িয়েছেন সিধরা নাওয়াজ।

২০ বলে ১৫ রান করা এই মিডল অর্ডার ব্যাটারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেছেন রাবেয়া। এরপর লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটাররা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। ফাতিমা সানা-নাটালিয়া পারভেজরা উইকেটে থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফাতিমা ৩৩ বলে ২২ রান করেছেন। শেষদিকে ডায়ানা ২২ বলে অপরাজিত ১৬ রান করলেও দেড়শর আগেই অল আউট হয় তারা। বাংলাদেশের হয়ে ৫ রানে ৩ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার স্বর্ণা। এ ছাড়া মারুফা ও নাহিদা দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন নিশিতা নিশি, রাবেয়া খান ও ফাহিমা খাতুন।




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন