মঙ্গলবার । ১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ । ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

দল হারলেও অভিষেকেই নজর কেড়েছেন শামীম পাটোয়ারী

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এবারের জিম্বাবুয়ে সফরে টানা পাঁচ ম্যাচ জয়ের পর অবশেষে হারের মুখ দেখল বাংলাদেশ। সেই হারটাও এলো যাচ্ছেতাইভাবে, আগের সাফল্যগুলো যেন ধূসর করে দিল এক ম্যাচই।

এক টেস্টে সহজ জয়, তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ। এরপর টি-টোয়েন্টি সিরিজটাও দাপটে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টাইগাররা পায় ৮ উইকেটের বড় জয়, জিম্বাবুয়ে লড়াইটাও করতে পারেনি।

সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। পারফরম্যান্সের এমন ধারাবাহিকতা দরকার ছিল খুব। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই একদম অন্য চেহারায় দেখা গেল বাংলাদেশকে। ফিল্ডিংয়ে গা-ছাড়া ভাব, ব্যাটিংয়েও যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্স-নতুন করে ভাবনার যোগান দিল।

জিম্বাবুয়ে ৬ উইকেটে ১৬৬ রানের লড়াকু সংগ্রহ পেয়ে যায় টাইগারদের ফিল্ডিংয়ের বড় বড় সব ভুলে। পরে ব্যাটসম্যানরাও যেন দেখালেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দলকে নিয়ে আশাবাদী হওয়ার সময় এখনও অনেক দূরে।

আগের ম্যাচের দুই হাফসেঞ্চুরিয়ান সৌম্য সরকার আর নাইম শেখ ইনিংস উদ্বোধনে নেমে ১৭ রানের মধ্যেই সাজঘরের পথ ধরলেন। সেই একই পথে হাঁটলেন সাকিব আল হাসান, মাহেদি হাসান, মাহমুদউল্লাহ, নুুরুল হাসান সোহানরা। পুরো ২০ ওভারও টিকতে পারল না বাংলাদেশ, অলআউট হলো ১৪৩ রানে।

তবে এই ১৪৩ পর্যন্ত যে গেছে রান, তার কৃতিত্ব দিতে হবে আজই অভিষেক হওয়া শামীম হোসেন পাটোয়ারীকে। আগের ম্যাচে বদলি হিসেবে নেমে চোখ ধাঁধানো এক ক্যাচ নিয়েছিলেন, আজ সুযোগ পেয়ে যান একাদশে।

আর নিজের দায়িত্বটা যতটা সম্ভব পালন করার চেষ্টা করেছেন শামীম। মাহমুদউল্লাহ তাকে এক ওভার বল করতে দিয়েছিলেন। ওই ওভারে দেন মাত্র ৭ রান।

ব্যাটিংয়ে যখন নেমেছেন, ৬৮ রানে ৬ উইকেট নেই দলের। সেই জায়গা থেকে আফিফ হোসেনের সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়েন শামীম। তার চেয়ে বড় কথা, যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন, একদম নিখাঁদ টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংই করেছেন ২০ বছর বয়সী এই তরুণ।

চার-ছক্কায় মাঠ গরম রেখেছিলেন। ১৩ বলে শামীমের উইলো থেকে আসে ২৯ রানের ঝড়ো এক ইনিংস, যে ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছিল চোখ ধাঁধানো দুটি ছক্কার মারও।

শামীম দেখিয়েছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও যে কোনো পরিস্থিতিতে নেমে বড় শট খেলার সামর্থ্য তার আছে। বলা যায়, চরম হতাশার এক দিনে ভবিষ্যতের ‘আশার আলো’ হয়ে দেখা দিলেন হার্ডহিটিং এই ব্যাটসম্যান।

 

খুলনা গেজেট/এমএইচবি




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন