শুক্রবার । ৩রা অক্টোবর, ২০২৫ । ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩২

সরকারি ব্যাখ্যা ভুল দাবি শিক্ষকদের, পেনশন নিয়ে আন্দোলন চলবে

গেজেট ডেস্ক

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। এমন বাস্তবতায় নতুন নিয়োগে প্রত্যয় স্কিম, পুরাতন শিক্ষকদের আগের স্কিম বহাল রাখা ও আজীবন পেনশনসহ বেশ কিছু বিষয় স্পষ্ট করেছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমাজের সবস্তরের মানুষকে একটি টেকসই পেনশন ব্যবস্থায় আনার জন্য অন্যদের পাশাপাশি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত এবং এর অঙ্গসংগঠনের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ‘প্রত্যয়’ স্কিম চালু করা হয়েছে। বর্তমানে ৪০৩টি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯০টির মতো প্রতিষ্ঠানে পেনশন ব্যবস্থা চালু আছে। অবশিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ডের (সিপিএফ) আওতাধীন। এছাড়াও আরো বেশ কিছু বিষয় বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে আমরা শিক্ষকরা যে আন্দোলন করছি, সেটা শুধু আমাদের আন্দোলন নয়। এটা আমাদের শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আন্দোলন। আমরা যারা ১ জুলাইয়ের আগে শিক্ষকতার চাকরিতে যোগদান করেছি তারা এই প্রত্যয় স্কিমের কারণে ভুক্তভোগী হব না। ১ জুলাইয়ের পর যেসব শিক্ষার্থীরা এই পেশায় আসবে তারা এই বৈষম্যের শিকার হবে। আমরা আমাদের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এই আন্দোলনে নেমেছি। যাতে আমাদের সঙ্গে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আকাশ পাতাল বৈষম্য তৈরি না হয়।

শিক্ষক সমিতির কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক লুৎফর রহমান তার বক্তব্য বলেন, যদি সরকার কালক্ষেপণ করে, আন্দোলনে দেশের মানুষও অংশ নেবে। আমাদের শিক্ষকদের আদর্শের ভিন্নতা থাকলেও এই আন্দোলনে কোনো আদর্শের ভিন্নতা নেই। এটি আমাদের বাঁচা-মরার আন্দোলন। এতে আমাদের জিততেই হবে।

শিক্ষকদের দাবি তিনটি হলো:

১. ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার

২. সুপার গ্রেডে (জ্যেষ্ঠ সচিবরা যে ধাপে বেতন পান) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি

৩. শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো প্রবর্তন

এদিকে ঙ্গলবারও ঢাবি, রাবি ও জবিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় সব ক্লাস ও পরীক্ষাসহ দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন বলছে, সব বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সঙ্গে রয়েছে। তবে ৩৫টির মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ক্লাস হয়। সেগুলোতেই কর্মবিরতির কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন