ভূমধ্যসাগরের পূর্ব কোণে অবস্থিত ছোট দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাস। এর জনসংখ্যা মাত্র ১০ লাখ। এক অদ্ভূত সমস্যা মোকাবেলা করছে দেশটি। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশটিতে এখন জনপ্রতি একটি করে বিড়াল রয়েছে। তবে কেউ কেউ বলেন, বিড়ালের এ সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে আরো বেশি।
সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে, দ্বীপের পরিবেশ বিষয়ক সংসদীয় কমিটি দাবি করে, বর্তমান জীবাণুমুক্তকরণ কর্মসূচি বিড়ালের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খুব সীমিত। সাইপ্রাসে সরকারিভাবে বিড়ালের জন্মহার নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চালু আছে।
পরিবেশ কমিশনার আন্তোনিয়া থিওদোসিউ বলেন, ‘এটি একটি ভালো কর্মসূচি, তবে এটি আরো সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন।’
বর্তমান প্রকল্পে বছরে মাত্র দুই হাজার বিড়ালকে স্টেরিলাইজেশন বা প্রজনন অক্ষম করা হয়। এ জন্য বাজেটে বরাদ্দ মাত্র এক লাখ ইউরো।
থিওদোসিউ বলেন, সাইপ্রাস জনসংখ্যার চেয়ে বিড়ালের সংখ্যার বেশি হওয়ার জন্য খ্যাতি অর্জন করেছে।
তার মতে, পরিস্থিতির পরিবর্তন আসতে পারে, তবে শুধুমাত্র তহবিল বাড়িয়ে সাইপ্রাসের বিড়াল সমস্যার সমাধান হবে না।
তহবিল বাড়ানোর দাবিতে সাড়া দিয়ে পরিবেশমন্ত্রী মারিয়া পানাইওটোউ ঘোষণা দিয়েছেন, সরকার বিড়ারের জন্মহার য়িন্ত্রণে তহবিল বার্ষিক তিল লাখ ইউরোতে উন্নীত করবে।
তবে সংসদীয় পরিবেশ কমিটির চেয়ারম্যান চারালামবোস থিওপেম্পটো সতর্ক করে বলেছেন, শুধু অর্থের ওপর নির্ভর না করে, সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
সাইপ্রাসের বিড়ালপ্রেমী জাতি হিসেবে দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এখানে ফুটপাতের ধারে বিড়ালের খাবারের দোকান এবং ছোট ছোট ঘরবাড়ি নিয়মিত দেখা যায়।
দুই দশক আগে, ফরাসি প্রত্নতাত্ত্বিকরা ৯ হাজার ৫০০ বছরের পুরনো একটি নব্যপ্রস্তরযুগীয় গ্রামে গৃহপালিত বিড়ালের প্রাচীনতম প্রমাণ আবিষ্কার করেছিলেন। তারা একটি মানুষের কঙ্কালের ধ্বংসাবশেষের কাছাকাছি একটি বিড়ালের হাড় খুঁজে পেয়েছিলেন, যা ইঙ্গিত দেয় যে তাদের একসাথে সমাহিত করা হয়েছিল।
সাইপ্রাসের অর্থনীতির একটি একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হলো পর্যটন। প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক এখানে আসেন বিড়াল দেখতে।
সূত্র: এবিসি নিউজ
খুলনা গেজেট/এনএম

