শুক্রবার । ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৫ । ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

পাঠ্যবই ছাপানো ও বিতরণ কার্যক্রমে বড় ধরনের কোনো বিঘ্ন ঘটবে না: সালেহউদ্দিন

গেজেট প্রতিবেদন

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সরকার প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত মুলতবি থাকা সব পাঠ্যবই-সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করায় নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরুতে পাঠ্যবই ছাপানো ও বিতরণ কার্যক্রমে বড় ধরনের কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, কিছু পাঠ্যবইয়ের ক্ষেত্রে পুনঃটেন্ডারের প্রয়োজন হয়েছিল। তবে, সার্বিক অনুমোদন প্রক্রিয়া এখন সম্পন্ন হয়েছে। যে বইগুলো পেন্ডিং ছিল, সেগুলোর জন্য আমরা পুনঃটেন্ডার চেয়েছিলাম। আগের সব অনুমোদনও নিষ্পত্তি হয়েছে। আমরা আশা করছি- সময়মতো বই পাওয়া যাবে। সামান্য কিছু দেরি হতে পারে। তবে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটার কথা নয়।

ঠিক কতদিন দেরি হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে ড. সালেহউদ্দিন কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা জানাননি। তবে, তিনি জোর দিয়ে বলেন, সরকার জানুয়ারির মধ্যেই লক্ষ্য পূরণে কাজ করছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমাদের লক্ষ্য জানুয়ারির মধ্যেই সবার হাতে বই পৌঁছে দেয়া।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সময় মতো পাঠ্যবই বিতরণে কোনো ধরনের প্রভাব ফেলবে কি না এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা এ উদ্বেগকে ‘ভ্রান্ত ধারণা’ আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের সঙ্গে বইয়ের কী সম্পর্ক? নির্বাচন তো বলবে না ‘বই বিতরণ করো না’। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে কিছু প্রশাসনিক কার্যক্রমে বিধিনিষেধ আসে, কিন্তু শিক্ষাসামগ্রী তার মধ্যে পড়ে না। বরং আমরা সময়মতো বই বিতরণে উৎসাহ দেব।

আগের বছরগুলোতেও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) দেরিতে বই পৌঁছে দিলেও বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালু ছিল উল্লেখ করে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, শিশুরা জানুয়ারিতেই স্কুলে যায়। এক সপ্তাহ দেরি হলেও ছাত্ররা বই পেয়ে যাবে। আমরাও স্কুলজীবনে দেরিতে বই পেতাম।

অর্থ উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, পাঠ্যবই বিতরণ নিশ্চিত করা অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। গুণগত মান ও সময়মতো বই সরবরাহ নিশ্চিত থাকবে। আমরা পুরো প্রক্রিয়া নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।

নির্বাচন সরকার পরিচালনা বন্ধ করে দেয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেকে মনে করেন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেই সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এটা সত্য নয়। শুধু যেসব কার্যক্রম সরাসরি নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে- যেমন মাঠপর্যায়ের বদলি বা সংবেদনশীল বরাদ্দ, তাতে নিষেধাজ্ঞা থাকে। বাজেট কার্যক্রম, বেতন-ভাতা, চলমান প্রকল্প, ক্রয়-বিক্রয় ও অনুমোদন প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে চলতে থাকে।

নির্বাচনের আগে কোনো নতুন অধ্যাদেশ জারি পরিকল্পনা আছে কি না এ প্রশ্নে উপদেষ্টা জানান, বর্তমানে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই। তিনি আরও বলেন, ব্যাংকিং রেজ্যুলেশন ইতোমধ্যে পাস হয়েছে, নন-ব্যাংকিং ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন আইনও পাস হয়েছে, এনবিআর সংস্কার প্রায় শেষ। শুধু জনবল সংক্রান্ত কিছু বিষয় রয়েছে, যার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন