ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার অভিযানে অংশ নিতে গিয়ে আনসারের ২৫ জন সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত ১০ জনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র উপপরিচালক আশিকুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সিটি ব্যাংকের বুথ থেকে ৫ কোটি টাকা উদ্ধার করেছেন আনসার সদস্যরা। উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া ২৫ জন সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর।
উপ-পরিচালক আশিকুজ্জামান জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭ ইউনিট। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা দায়িত্বে নিয়োজিত আনুমানিক এক হাজার আনসার সদস্য ঘটনাস্থলে উদ্ধার ও আগুন নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করছেন। বিমানবন্দরের আগুন নিয়ন্ত্রণে গিয়ে আনসারের অন্তত ২৫ জন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০ জনকে সিএমএইচে এবং ৭ জনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আসনার সদস্য সজল, আসাদসহ বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠানো হয়েছে।
আহতদের মধ্যে সিএমএইচ ভর্তি আনসার নূরনবী ইসলাম, বাদশা মিয়া, মো. মোজাহিদ, মো. শাওন, ফরিদুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম হৃদয়, সজল বিশ্বাস, আব্দুর রহমান, নিশাত ও ফারুক হোসেন। এছাড়া কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আনসারের এপিপি শামীম, রাশেদ, আব্দুল হাই, ইউসুফ, মিরাজুল, তারেক ও সাইদুর।
এর আগে শনিবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ২টা ৩৪ মিনিটে শাহজালাল বিমানবন্দরের দিকে রওনা হয় চারটি ইউনিট। একে একে ঘটনাস্থলে ৩৭টি ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমপোর্ট কার্গো এলাকার ৮ নম্বর গেটের পাশে বিভিন্ন কোম্পানির আমদানি করা কেমিক্যাল, গার্মেন্টস, ইলেকট্রনিকস ও মেশিনারিজ পণ্যে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম সমকালকে জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট কাজ করছে। আরও ৫টি ইউনিট পথে রয়েছে।
আনসারের উত্তর জোন কমান্ডার গোলাম মৌলাহ তুহিন জানান, আনসার সদস্যরা অগ্নিকাণ্ডের প্রাথমিক মুহূর্তেই আগুন দেখতে পেয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন এবং ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও সাহসিকতার সঙ্গে প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ঘটনাটির সার্বিক তদারকি করছে এবং আহত সদস্যদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও সহায়তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএজে

