জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন প্যানেলের আপত্তির মুখে ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা পদ্ধতি বাতিল করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ম্যানুয়ালি এই ভোট গণনা শুরু হয়। ভোট গণনার প্রক্রিয়া ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত এলইডি স্ক্রিনে দেখানো হচ্ছে।
ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করার কারণে এ ফল পেতে আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক রশিদুল আলম। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
রশিদুল আলম বলেন, ‘ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করা হবে। ফলাফল পেতে তাই আগামীকাল সকাল বা দুপুর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।’
এদিন সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৭ জন। বিভিন্ন পদে মোট ১৭৮ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমোদন পেয়েছেন। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১০ জন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ১০টি ছাত্রী হল ও ১১টি ছাত্র হল। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৬৭ জন পোলিং কর্মকর্তা ও ৬৭ জন সহকারী পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেন। ভোটাররা কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি ব্যালটে ভোট দেন (টিক চিহ্ন)।
খারাপ নির্বাচন হলেও জাকসু থাকা ভালো: ভিপি প্রার্থী আরিফুজ্জামান
অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা এবং প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণে প্রশ্নবিদ্ধ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। তবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মাঝে ক্ষমতার ভারসাম্য আনার স্বার্থে আমরা মনে করি, খারাপ নির্বাচন হলেও জাকসু থাকা, জাকসু না থাকার চেয়ে ভালো।
শুক্রবার রাত দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সমর্থিত প্যানেল শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল।
খুলনা গেজেট/এইচ