অন্তর্বর্তী সরকারের ১১ মাসের শাসনামলে অন্তত ৩৪ জন বাংলাদেশিকে গুলি বা নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। আইন ও সালিশ কেন্দ্র এই তথ্য জানিয়েছে।
আগের বছরগুলোতেও (২০২৩ ও ২০২৪ সালে) এই সংখ্যা যথাক্রমে ৩১ ও ৩০ জন ছিল। বারবার আশ্বাসের পরও এই হত্যাকাণ্ড থামেনি।
সম্প্রতি ফেনীর পরশুরামের বাশপদুয়া সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত এবং একজন আহত হন।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মুনিরুজ্জামান বলেন, ভারত সহযোগিতা করছে না এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির দুর্বলতার কারণেই কার্যকর চাপ তৈরি হচ্ছে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেনও মনে করেন, কৌশলগতভাবে গুরুত্ব না দেওয়ায় সীমান্তে হত্যা কমানো যাচ্ছে না।
এদিকে ভারত চলতি বছর ৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত দুই হাজার জনকে, অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে। যার মধ্যে রোহিঙ্গা ও ভারতীয় নাগরিকও রয়েছে। সীমান্তে বিস্ফোরণ, ড্রোন উড়ানো ও গুলি ছোঁড়ার ঘটনাও ঘটছে।
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ছাত্র আন্দোলনের মাঝে বিএসএফ প্রায় প্রতি মাসেই বাংলাদেশিদের হত্যা করেছে।
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বিএসএফ-এর হাতে ১৫ জন নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম