পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ভৈরমপুর গ্রামে নিজ বসতঘর থেকে রোকেয়া বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধা নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে স্থানীয়রা ঘরের ভেতরে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোকেয়া বেগম একাই বসবাস করতেন। প্রতিদিন সকালে প্রতিবেশীরা তাকে ডাকাডাকি করে খোঁজ নিতেন। এদিন সকাল ৯টার পর সাড়া না পেয়ে পাশের দরজা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন তারা। তখনই তারা ঘরের ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় রোকেয়া বেগমের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
রোকেয়া বেগমের স্বামী মৃত মুক্তার হাওলাদার। তার দুই ছেলে এক মেয়ে আছে। ছেলে লিটন হাওলাদার ও মহসিন হাওলাদার। ছোট ছেলে মহসিন বিদেশে অবস্থান করছেন, আর বড় ছেলে লিটন হাওলাদার একই এলাকায় আলাদা বাড়িতে থাকেন। মেয়ে মাহফুজা আক্তার থাকেন স্বামীর বাড়িতে।
বৃদ্ধার ছেলে লিটন হাওলাদার বলেন, আমাদের একই এলাকার রুমান হাওলাদারের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। তারা আমাদের বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিল। তবে এ ছাড়া আমাদের কারো সঙ্গে কোনো বিরোধ ছিল না।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ঘটনাটি তদন্তে পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ শুরু করেছে।
খুলনা গেজেট/এএজে