করোনার অতি উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে দেশের ৫৭ টি জেলা। মৃত্যুতে খুলনা বিভাগের অবস্থান এখনো শীর্ষে। আর বর্তমানে দেশে শনাক্তের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ ভাগই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। এসব তথ্য জানিয়েছেন আইইডিসিআর এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।
জুন মাস জুড়েই রয়েছে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি। এ মাসে দেশে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর রেকর্ড ছাড়িয়েছে। সীমান্তবর্তী জেলায় এই হার এখনও ঊর্ধ্বমুখী।
গেলো ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬৬৬ জন। শনাক্ত বিবেচনায় এই হার ২৩.৯৭ শতাংশ। আর মৃত্যু হয়েছে ১১২ জনের। করোনায় দেশে টানা তিন দিন শতাধিক প্রাণহানি।
খুলনা বিভাগে গেলো ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। ঢাকা বিভাগে ২২ আর রাজশাহী বিভাগে প্রাণহানি ২১ জনের। চট্টগ্রাম বিভাগে মারা গেছেন ১৬ জন। এছাড়া, রংপুর বিভাগে ১০, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪, বরিশাল বিভাগে ৩ আর সিলেট বিভাগে মারা গেছেন ১ জন করে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা বিভাগে নতুন করে ১ হাজার ৩৬৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩ হাজার ৩৭১টি। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। সরকারি হিসেবে বিভাগে ৩৫ জন মৃত্যুর রেকর্ড থাকলেও আরও অনেকেই করোনা উপসর্গে মৃত্যুবরণ করেছে বলে জানা গেছে।
তবে আইইডিসিআর এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর জানিয়েছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সীমান্তবর্তী জেলায় কমতে শুরু করবে করোনা সংক্রমণ।
করোনা সংক্রমণে দেশের ৫৭টি জেলা অতি উচ্চ ঝুঁকিতে আছে। এরমধ্যে ৩০ শতাংশের বেশি সংক্রমণ হার ২০টি জেলায়।
বর্তমানে দেশে শনাক্তের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ ভাগই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। ফলে সংক্রমণ রোধে ৭ দিন নয়, ১৪ দিনের কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করা উচিত বলে মনে করেন এই বিজ্ঞানী।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি