খুলনা, বাংলাদেশ | ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম মারা গেছেন
  ভারতে হাসপাতালে আগুন লেগে ১০ শিশুর মৃত্যু

পদ্মা সেতু এলাকা থেকে সন্দেহভাজন ১১ ভারতীয় আটক

গেজেট ডেস্ক

পদ্মা বহুমুখী সেতুর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্ত থেকে গত ১৭ মাসে ১১ ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে। অনুপ্রবেশের অভিযোগে করা মামলায় তারা এখন কারাবন্দি।

আচরণ ও বেশভূষা সন্দেহজনক হওয়ায় তাদের আটক করা হয়। একের পর এক এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সেতুর বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে; বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। গত কয়েক দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন সংস্থার একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য জানা গেছে। যদিও ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন বলেছে, এ বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই।

শরীয়তপুরের জাজিরা থানা পুলিশ জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেডের অধীনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ২৮ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্যরা প্রকল্পের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড এলাকায় নিয়মিত টহলের সময় সন্দেহজনক আচরণ দেখে গত ১৭ মাসে ১১ ভারতীয়কে আটক করেন সেনা সদস্যরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের জাজিরা থানায় হস্তান্তর করা হয়। এই ১১ জনের মধ্যে চলতি বছরই আটক করা হয় ছয়জনকে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন সংস্থার একাধিক কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে তাদের বেশভূষায় পাগল মনে হলেও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেশির ভাগকেই পাগল মনে হয়নি। কারণ তাদের বেশির ভাগই নিজের দেশ, বাড়ি, জেলা ও গ্রামের নাম পর্যন্ত বলতে পারছেন। শুধু তা-ই নয়, তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের নামও বলেছেন। তবে এই ১১ জনের মধ্যে চারজনের কাছ থেকে কোনোভাবেই কোনো তথ্যই পাওয়া যায়নি। এ কারণে এই চারজনকে অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবেই আদালতে পাঠানো হয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আরও জানান, এই ১১ জনের অনেকেই হিন্দি ভাষায় কথা বলেন। কয়েকজন হিন্দির মতো কথা বলেন। সেটা তাদের আঞ্চলিক ভাষাও হতে পারে।

কারা কর্মকর্তারা বলছেন, ১১ ভারতীয় নাগরিককে সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গেই রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজনকে প্রাথমিকভাবে মানসিক ভারসম্যহীন মনে হওয়ায় তাদের পাবনা মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসা শেষে তাদের কারাগারে ফেরত পাঠিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা এখন ভালো আছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, পার্শ্ববর্তী একটি দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা এসব সন্দেহভাজনের বেশভূষা, কথাবার্তা, আচার-আচরণে পাগলামির ভাব থাকলেও তাদের সবাইকে পাগল মনে হয়নি। কারণ তাদের ছেঁড়া পোশাক, উসকোখুশকো চুল থাকলেও হাত ও পায়ের নখ পরিপাটি। ভারতের যেসব রাজ্য থেকে তারা আসার কথা বলেছেন, সেগুলোর কোনো কোনোটির দূরত্ব হাজার মাইলেরও বেশি। এত দূর থেকে তারা কেন বাংলাদেশের শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা সেতু এলাকায় এসেছেন, তদন্ত সংশ্লিষ্টরা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রথম সন্দেহভাজন এক ভারতীয়কে আটক করা হয়। তার কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না। ব্যক্তিগত কোনো তথ্যই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তিনি দেননি। সর্বশেষ গত ২৫ জুন যে ভারতীয়কে আটক করা হয়, তিনি নিজেকে রূপসা রায় দিপক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। সূত্র : নিউজবাংলা২৪.কম।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!